কাশির চিকিৎসা নির্ভর করে কাশির কারণ এবং তীব্রতার উপর। সাধারণত, কাশির চিকিৎসার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
-
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: কাশির সময় শরীরের প্রচুর পরিমাণে শক্তি খরচ হয়। তাই, কাশির সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
-
তরল খাবার ও পানীয় গ্রহণ: কাশির সময় শরীর থেকে পানি ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটস বেরিয়ে যায়। তাই, কাশির সময় প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা উচিত। এতে কাশি কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ হতে সাহায্য করে।
-
কাশির ওষুধ সেবন: কাশির কারণ অনুসারে বিভিন্ন ধরনের কাশির ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। যেমন, শুষ্ক কাশি, উৎপাদনশীল কাশি, অ্যালার্জিক কাশি, ইত্যাদি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে কাশির ওষুধ সেবন করা উচিত।
-
ঘরোয়া প্রতিকার: কাশির জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। যেমন,
-
হালকা গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করা।
-
লবণজল দিয়ে গার্গল করা।
-
গরম সেঁক দেওয়া।
-
আদা চা পান করা।
-
ইত্যাদি।
কাশির চিকিৎসায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
-
কাশির কারণ অনুসন্ধান করা: কাশির কারণ অনুসন্ধান করে তার চিকিৎসা করা জরুরি। কারণ, কাশির কারণ নির্ণয় না করে চিকিৎসা করলে কাশি ভালো নাও হতে পারে।
-
স্ব-চিকিৎসা পরিহার করা: কাশির চিকিৎসায় স্ব-চিকিৎসা পরিহার করা উচিত। কারণ, স্ব-চিকিৎসায় কাশি ভালো নাও হতে পারে এবং আরও জটিলতা দেখা দিতে পারে।
-
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: কাশির তীব্রতা বা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আপনার ক্ষেত্রে কাশির কারণ জানা না থাকলে, একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করাই ভালো।