কাঁঠালের পুরুষ ও স্ত্রী ফুল চেনার উপায়:
* পুরুষ ফুলঃ এটি মুচি নামেই বেশি পরিচিত। এটিকে বলা হয় পুরুষ পুষ্পমঞ্জরি। পুরুষ ফুল গাছের শাখা-প্রশাখা, কান্ড যে কোন অংশ থেকে বের হতে পারে। এটি লম্বা ও চিকন হয়। এর উপরের পৃষ্ঠ মসৃন হয়। পুষ্প মঞ্জরীর উপরে হালকা হলুদ পাউডারের মত দানার সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে পরাগরেণু বের হয়।
* স্ত্রী ফুলঃ এটিই মূলত কাঠাল হয়। স্ত্রী পুষ্পমঞ্জরীর বোটা মোটা হয়ে থাকে ও বোটায় স্পষ্ট রিং এর মত থাকে । স্ত্রী পুষ্পমঞ্জরী পুরুষ পুষ্পমঞ্জরী অপেক্ষা দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ও আকারে বড় হয়। এর উপরিভাগ খসখসে হয়ে থাকে। স্ত্রী পুস্পমঞ্জরীর গায়ে ফুলের স্টিগমা গুলো বাইরে থেকে দেখা যায়।
* কাঁঠাল ফুল বায়ু পরাগী। বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়ন হয়ে থাকে। কাঁঠালের স্ত্রীপুষ্পমঞ্জরী বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র স্ত্রী ফুল নিয়ে গঠিত হয়। যত বেশী স্ত্রীফুল পরাগায়িত হবে কাঁঠালের কোষও তত বেশী হবে এবং আকারে বড় হবে। তাই কৃত্রিম পরাগায়নের মাধ্যমে পরাগায়ন নিশ্চিত করতে পারলে ফল ধারণ বৃদ্ধি পায়।
* ফলের অপুষ্টতা বা ম্যালফরমেশন বা এবরোথেবরো ভাব দূর করতে মৌসুমের শুরুতে ০.২% বোরন পুষ্পমঞ্জরী, গাছের পাতা ও শাখা প্রশাখা ভিজিয়ে স্প্রে করলে এ সমস্যা থাকে না।
* আম ও লিচু জাতীয় কতিপয় ফলের ফুল ধারনের আগে খরার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কাঁঠালের বেলায় তা প্রয়োজন পড়ে না। বরং সেচের প্রয়োজন পড়ে।
এজন্য নভেম্বর মাস থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর সেচ প্রয়োগ করতে পারলে কাঁঠালের ফুল-ফল ধারন বৃদ্ধি পায় ও ফল ঝরা কমে।
(সংগৃহীত)