ঘুমের প্রথম স্তরটি হলো মৃদু ঘুম, যেখানে ঘুম পাতলা হয় এবং সহজেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এমতাবস্থায় ঘর বেশি গরম বা ঠান্ডা হলে, কোনো শব্দ হলে কিংবা অজানা উৎস থেকে আলো এলেই ঘুম ভেঙে যেতে পারে। রাতে নির্ভেজাল ঘুম পেতে ঘর হওয়া চাই আরামদায়ক মাত্রায় ঠান্ডা, নীরব এবং অন্ধকার।
>> মানসিক অস্বস্তি থাকলে দুঃস্বপ্ন, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় ঘুম ভাঙতে পারে। অনেকেই আবার ঘুমের মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন।
>> শরীরের থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের বেশি সক্রিয় হলে তা তৈরি করবে অতিরিক্ত ‘থাইরক্সিন’ হরমোন। ঘুমের সমস্যাসহ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, অস্বস্তি, আতঙ্ক ইত্যাদি সাধারণ কিছু ঘটনা, যা অতিরিক্ত ‘থাইরক্সিন’য়ের ফলাফল।
>> ‘রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম’ নামক সমস্যায় পায়ে টান অনুভূতি হয়। রাতে ঘুমের মাঝে এ সমস্যা আক্রমণ করতে পারে। শরীরে আয়রনের অভাবে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
>> ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা অনিদ্রা একটি অতি সাধারণ সমস্যা বর্তমান সময়ে, যাতে সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত হতে পারেন। যেসব রোগের কারণে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে- রাত ১১-১টার মধ্যে যদি ঘুম ভাঙে; তাহলে গলব্লাডারের সমস্যা থাকতে পারে।
সাধারণত মানসিকভাবে হতাশ হলে এভাবে ঘুম ভেঙে যায়। রাত ১-৩টার মধ্যে ঘুম ভাঙা মানে লিভারের অসুখে ভোগা। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা পানি খাবেন। রাত ৩-৫টার মধ্যে আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়া বেশ খারাপ লক্ষণ। এটি ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। ভোর ৫-৭টায় ঘুম ভাঙার অর্থ আপনার মনে অনেক দ্বিধা রয়েছে। এসময় ঘুম ভাঙলে আর বিছানায় না থেকে বরং উঠে শরীরচর্চা করুন।