♦ লাগাতার সারা বছর রোযা রাখা এমন কি নিষিদ্ধ সময়েও রোযা রাখা মাকরূহে তাহরীমী। আর যদি নিষিদ্ধ সময়ে রোযা না রেখে এমনিতেই সারা বছর রোযা রাখে তাহলে এ বিষয়ে ফুক্বাহায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ আছে।
♦ কেউ কেউ এটাকে মাকরূহ বলেছেন। কারণ, তখন এটা আর ইবাদত থাকে না, বরং অভ্যাসে পরিণত হয়। এছাড়া এতে শরীরীক দুর্বলতাও সৃষ্টি হয়।
♦ আর কেউ কেউ এটাকে জায়েজ বলেছেন এবং কোন সমস্যা নেই বলে মত ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং এতে বুঝা যায় যে, এতে সওয়াব হবে। আর এ মতটাই অধিক যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য।
♥ তবে সারা বছর রোযা রাখার ক্ষেত্রে সওমে দাউদ আলাইহিস সালাম সবচে’ উত্তম। সেটি হল, একদিন রোযা রাখা ও পরের দিন রোযা না রাখা। এভাবে সারা বছর রোযা রাখা। আর নিষিদ্ধ দিনসমূহে রোযা না রাখা।
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ، كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا، وَأَحَبُّ الصَّلاَةِ إِلَى اللَّهِ صَلاَةُ دَاوُدَ، كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ، وَيَنَامُ سُدُسَهُ»
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় সওম হলো দাঊদ (আঃ)-এর নিয়মে সওম পালন করা। তিনি একদিন সওম পালন করতেন আর একদিন বিরত থাকতেন। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় সালাত হলো দাঊদ (আঃ)-এর নিয়মে সালাত আদায় করা। তিনি রাতের অর্ধাংশ ঘুমাতেন, রাতের এক তৃতীয়াংশ সালাতে দাঁড়াতেন আর বাকী ষষ্ঠাংশ আবার ঘুমাতেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৪২০]
সূত্র: আহলে হক মিডিয়া।