রজম কি?
বিবাহিত নারী-পুরুষ ব্যভিচারে লিপ্ত হলে ইসলামী শরীয়ত অনুসারে শাস্তিস্বরূপ প্রস্তরাঘাতে ব্যভিচারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে রজম বলা হয়।
রজমের উপকারিতাঃ-
১. কোনো পুরুষ কোনো নারীকে একা দুর্বল বা দরিদ্র ও আশ্রয়হীন মনে করে তার সম্মান-সম্ভ্রম লুটার চেষ্টা করবে না।
২. কোনো নারী কোনো পুরুষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করবে না। বেপর্দা দূর হয়ে যাবে।
৩. কোনো নারী পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করবে না। যুবসমাজকে বিপথগামী করতে পারবে না। না বাজারে দেহব্যবসা চলবে, না অভিজাত এলাকার বড় বড় অট্টালিকায় মদ-নারীর আসর বসবে। সবই বন্ধ হয়ে যাবে।
৪. পুরুষ স্বীয় স্ত্রীর প্রতি অধিক মনোযোগ দেবে। হাট-বাজারের বেপর্দা নারীরা গুনাহের প্রতি আহ্বান করতে পারবে না। রূপসী মডেলদের সৌন্দর্য দেখে স্বামী নিজ স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ হারাবে না।
৫. গোপনে গোপনে চুটিয়ে প্রেম করা বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধুত্বসুলভ প্রেমের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। মোবাইল কম্পিউটারে চ্যাটিংয়ের সুযোগ থাকবে না। যুবক- যুবতীদের সময়ের হেফাজত হবে।
৬. উঠতে-বসতে সংসার ধ্বংস করার লোক থাকবে না। কোনো পুরুষ কোনো নারীকে তার স্বামীর প্রতি অতিষ্ঠ করে তোলার চেষ্টা করবে না। কোনো নারী কোনো পুরুষকে তার স্ত্রীর প্রতি বিরূপ করে তোলার চেষ্টা করবে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ সংসারে শান্তি ও স্বস্তির জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম হবে।
৭. স্বামী খেত-খামার, অফিস বা দোকানে চলে গেলে তার স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে কেউ তার সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করবে না। স্ত্রীরও একাকী ঘরে কোনো ভয় থাকবে না। স্বামীও বাহিরে চিন্তামুক্ত থাকবে।
৮. প্রভাবশালীরা দরিদ্র লোকদের স্ত্রী-কন্যার প্রতি কুদৃষ্টি দিতে পারবে না।
৯. বিত্তশালীরা এক স্ত্রীর সাথে কয়েকজন করে উপ-স্ত্রী রাখতে পারবে না।
১০. এমন হবে না যে, স্ত্রী ঘর করবে একজনের আর তার মন পড়ে থাকবে অন্যজনের কাছে।
১১. আধুনিক মায়েরা নিজেদের সন্তানদের গান্ধা পরিবেশে লাগামহীন ছেড়ে দিতে পারবে না।
১২. নারীরা ঘরে, বাহিরে, সফরে সর্বত্র নিজেকে নিরাপদ মনে করবে। ইয়ামান থেকে মদীনা পর্যন্ত কোনো নারী একাকী সফর করলেও কেউ তার জান-মাল ও ইজ্জত-আবরুর দিকে হাত বাড়াবে না। লজ্জা ও শালীনতাপূর্ণ পরিবেশে আল্লাহ তাআলার রহমত সর্বদা বৃষ্টির মতো বর্ষিত হতে থাকবে। রিযিকে বরকত হবে। বিবাহ-বিচ্ছেদ কমে যাবে। প্রতিটি ঘর নারীদের জন্য জান্নাতের একটি ছোটখাটো নমুনায় পরিণত হবে।
১৩. কোনো পুরুষ কোনো নারীকে ফুসলানোর চেষ্টা করলেও জবাবে সে বলতে পারবে, “My Body, My Life My decision, I say no. (আমার শরীর, আমার জীবন, আমার সিদ্ধান্ত, আমি বলছি হবে না।)
১৪. অনুরূপ কোনো নারী কোনো পুরুষকে ফুসলানোর চেষ্টা করলে সেও জবাব দিতে পারবে, مَعَاذَ اللّٰهِ" (আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।) এতে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম এর কথা স্মরণ হয়ে যাবে।
১৫. চারিত্রিক পবিত্রতা উন্নত হওয়ার ফলে দ্রুত দুআ কবুল হতে থাকবে। চারপাশে আল্লাহর রহমতের নিদর্শন প্রকাশ পেতে থাকবে। বিশ্বব্যাপী ইসলামের মর্যাদা উন্নীত হবে এবং কাফেরদের মুখ কালিমালিপ্ত হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা আমাদের সকলকে বুঝার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া আরহামার রাহিমীন।