ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মতে ওযু ভঙ্গের কারণ ৮ টি। যথাঃ
১/ প্রস্রাব অথবা পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া।
২/ শরীরের কোন অঙ্গ হতে প্রবাহমান নাপাক বের হয়ে এমন স্থানে গড়িয়ে পড়া যে স্থান অজু-গোসলের সময় ধৌত করা ফরয।
৩/ মুখ ভরে বমি করা। চাই তা পানি, খাদ্য বা পিত্ত হোক কিংবা জমাট রক্ত। এসব কারণে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। বমিতে ক্বফ বের হলে ওযু ভঙ্গ হয় না। তবে ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাআলাই এর মতে মুখ ভরে ক্বফ বের হলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়।
৪/ থুথুর সাথে রক্ত বেরিয়ে আসলে। রক্ত যদি থুথুকে লাল বর্ণ করে দেয় তাহলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ইমাম মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে এক উদবেগের একাধিক বারের বমি যদি মুখ ভরে বমির সমান হয় তাহলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং ইমাম আবু ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে এক মজলিসের একাধিকবারের যদি মুখ ভরে বমির সমান হয় তাহলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে।
৫/ চিত বা কাত হয়ে এমন বস্তুর সঙ্গে হেলান দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে নিলে লোকটি পড়ে যাবে, তাহলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হেলান না দিয়ে ঘুমালে বা রুকু এবং সিজদার মধ্যে সুন্নত তরিকায় থেকে ঘুমালে ওযু ভঙ্গ হবে না।
৬/ পাগল মাতাল ও বেহুঁশ হয়ে গেলে সর্বাবস্থায় ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।
৭/ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ রুকু-সেজদা বিশিষ্ট নামাযে অট্টহাসি হাসলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।
৮/ মুবাশারাতে ফাহেশা অর্থাৎ বিবস্ত্র অবস্থায় নারী-পুরুষের লজ্জাস্থান পরস্পর মিলিত হলে (স্ত্রী সহবাস করলে) ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।