কোন যৌগের অণুস্থিত প্রতিটি মৌলের পরমাণুগুলোর প্রকৃত সংখ্যাকে প্রতীকের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত রূপে প্রকাশ করাকে যৌগটির আণবিক সংকেত বলে। অন্যদিকে, যে সংকেত দ্বারা অণুতে বিদ্যামান পরমাণুসমূহের সরল অনুপাত প্রকাশ করে তাকে স্থূল সংকেত বলে।
২। আণবিক সংকেত দ্বারা বিভিন্ন যৌগে মৌলের পরমাণু সমূহের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়। অন্যদিকে স্থূল সংকেত দ্বারা যৌগের বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সমূহের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় না।
৩। আণবিক সংকেত মৌল অথবা যৌগের হতে পারে। অন্যদিকে স্থূল সংকেত শুধুমাত্র যৌগের ক্ষেত্রে হতে পারে।
৪। একটি আণবিক সংকেত কেবল একটি নির্দিষ্ট যৌগের ক্ষেত্রে হয়। যেমনঃ অ্যাসিটিলিনের আণবিক সংকেত C₂H₂ ও বেনজিনের আণবিক সংকেত C₆H₆ . অন্যদিকে একটি স্থূল সংকেত একাধিক যৌগের হতে পারে। যেমনঃ অ্যাসিটিলিন ও বেনজিন উভয়ের স্থূল সংকেত CH.
৫। বস্তুর আণবিক ভরকে স্থুল সংকেত অনুসারে বস্তুটির ভর দ্বারা ভাগ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তা বস্তুটিতে বর্তমান মৌলসমূহের পরমাণুর সংখ্যার পরিমাণ নির্দেশ করে। অন্যদিকে পদার্থের অণুতে বিভিন্ন মৌলের শতকরা পরিমাণ ও তাদের পারমাণবিক ভর থেকে স্থূল সংকেত গণনা করা হয়।