130 বার দেখা হয়েছে
"সাধারন জ্ঞান" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

শিশু এবং পুরুষদের মধ্যে ব্রঙ্কাইটিস বেশি হয়। ডাক্তারি ভাষায় ব্রঙ্কাইটিসকে মূলত শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ অনুযায়ী দু’ভাগে ভাগ করা যায় – 

১) অ্যাকিউট (Acute), ২)ক্রনিক (Chronic)। 
অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস সাধারণত দু’সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। অন্যদিকে, বছরে ৩ মাস করে টানা দু’বছর ব্রঙ্কাইটিস থাকলে তাকে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বলে। 
সাধারণত ব্রঙ্কাইটিসের প্রধান কারণ ব্যাক্টেরিয়াল কিংবা ভাইরাল। ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ভাইরাসজনিত কারণে ব্রঙ্কাসে ইনফেকশন হলে সেখানকার মিউকাস মেমব্রেনগুলো ফুলে যায় এবং ক্রমশ পুরু হয়ে যায়। ফলে শ্বাসনালী দিয়ে বাতাস ঠিকমতো ফুসফুসে যেতে পারে না। এর ফলে শ্বাসকষ্ট এবং কাশি হয়। 

কারণঃ ধূমপান ব্রঙ্কাইটিসের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের শ্বাসনালীতে চুলের মতো দেখতে কিছু স্ট্রাকচার থাকে, যার নাম সিলিয়া। ধূলাবালি, বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ যা ফুসফুসে গিয়ে ক্ষতি করতে পারে তাদের ফুসফুসে যেতে বাধা দেয়াই এদের কাজ। ধূমপানের ফলে এসব সিলিয়া তাদের কার্যকারিতা হারায়। যার কারণে খুব সহজেই ব্রঙ্কাইটিস ডেভেলপ করতে পারে। এছাড়া যানবাহনের কালো ধোঁয়া, ধূলাবালি,বায়ু দূষণ এগুলো ব্রঙ্কাইটিসের কারণ হিসেবে বিবেচিত। 

লক্ষণসমূহঃ ব্রঙ্কাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো কাশি, শ্বাসকষ্ট, হালকা কাঁপুনিসহ জ্বর, সর্দি, নাসাবদ্ধতা, মাথাব্যথা ইত্যাদি। 

চিকিৎসাঃ সাধারণত ব্রঙ্কাইটিস এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় মাত্র। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে COPD ডেভেলপ করতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়( যদি কারণ ব্যাকটেরিয়াল হয়ে থাকে) । তাছাড়া,অ্যান্টিবায়োটিক সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রিভেন্ট করে। এছাড়া কাশির জন্য অ্যান্টিটাসিভ সিরাপ দেয়া হয়ে থাকে এবং শ্বাসকষ্টের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।এতে আপনার অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স হয়ে যেতে পারে। 

প্রতিরোধঃ ব্রঙ্কাইটিস প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে ভালো করনীয় হলো ধূমপান বর্জন করা। শুধু ধূমপান বর্জন করেই ব্রঙ্কাইটিস অনেকাংশে প্রতিরোধ সম্ভব। তাছাড়া ধূলাবালি থেকে দূরে থাকা এবং নিজের পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে ব্রঙ্কাইটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
12 জানুয়ারি, 2021 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
15 ডিসেম্বর, 2019 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Kuddus
1 টি উত্তর
31 জানুয়ারি, 2023 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
19 মার্চ, 2022 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
22 ফেব্রুয়ারি, 2022 "দৈনন্দিন সমস্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
24 নভেম্বর, 2020 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
14 আগস্ট, 2020 "স্বাস্থ্য টিপস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
27 জুন, 2019 "স্বাস্থ্য টিপস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
17 জানুয়ারি "সাধারন জ্ঞান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন TANJIMHASAN

34,053 টি প্রশ্ন

33,007 টি উত্তর

1,576 টি মন্তব্য

3,212 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
23 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 23 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 16223
গতকাল ভিজিট : 46623
সর্বমোট ভিজিট : 42753297
  1. MuntasirMahmud

    302 পয়েন্ট

    60 টি উত্তর

    2 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    105 পয়েন্ট

    20 টি উত্তর

    5 টি গ্রশ্ন

  3. Kuddus

    85 পয়েন্ট

    17 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  4. TeddyAhsan

    71 পয়েন্ট

    4 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  5. Sijan855

    68 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    13 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...