পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরছে এবং একই সঙ্গে উপবৃত্তাকার পথে একবার সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসে। আপন কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এই পরিক্রমণকে বার্ষিক গতি বলে। পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে এবং দিন- রাত্রি ছোট- বড় হয়। পৃথিবী সবসময়ই সূর্য থেকে আলো ও তাপ পেয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর সব স্থান বছরের সব সময় সমান আলো ও তাপ পায় না। এর কারণ পৃথিবী হেলানো অবস্থায় সূর্যের চারদিকে ঘোরে। হেলানো অবস্থায় সূর্যের চারদিকে ঘোরে বলে কখনো উত্তর মেরু সূর্যের কাছাকাছি আসে এবং দক্ষিণ মেরু দূরে সরে যায়। আবার এক সময় এর ঠিক উল্টোটাও ঘটে। আবার কখনো উত্তর মেরু সমান দূরত্বে থাকে। যখন পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের কাছাকাছি থাকে তখন সে অংশ তাপ ও আলো বেশিক্ষণ ধরে পায়। ফলে পৃথিবীর সে অংশে দিন বড় ও রাত ছোট হয়। আর তাপ বেশি পায় বলে সে সময়টা হয় সে স্থানের জন্য গ্রীষ্মকাল। এর বিপরীত অংশে তখন তাপ কম পায় বলে শীতকাল হয় এবং আলো কম পায় বলে রাত বড় হয়। বার্ষিক গতির কারণে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে ২১ জুন দিন সবচেয়ে বড় ও রাত সবচেয়ে ছোট হয়। ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে বলে ওইদিন দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়।