বাইবেলে যা বর্ণনা আছে তার কিছু কথা তুলে ধরা হলো-
Old Testament 15. প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের জন্য একজন ভাববাদী পাঠাবেন| তোমাদের নিজের লোকদের মধ্য থেকেই এই ভাববাদী আসবে| সে আমারই মতো হবে| তোমরা অবশ্যই এই ভাববাদীর কথা শুনবে|(দ্বিতীয় বিবরণ 18:15)
םירבד-Deuteronomy :18 18 םהיחא ברקמ םהל םיקא איבנ רבדו ויפב ירבד יתתנו ךומכ ׃ונוצא רשא לכ תא םהילא 18.
আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাব| এই ভাববাদী তাদের ভ্রাতৃবর্গদের মধ্যেই একজন হবে| সে য়ে কথা অবশ্যই বলবে সেটা আমি তাকে বলে দেব| আমি যা আদেশ করি তার সমস্ত কিছু সে লোকদের বলবে| (দ্বিতীয় বিবরণ 18:18)
Hebrew তে এই শব্দটির দুটোর অর্থ איִ֨בָנ 18 বার্তাবাহক/নবী םֶ֖היֵחֲא18 তাদের ভ্রাতৃবর্গদের םֶ֖היֵחֲא 19. এই ভাববাদী আমার জন্যই বলবে এবং যখন সে কথা বলবে, যদি কোন ব্যক্তি আমার আদেশ না শোনে তাহলে আমি সেই ব্যক্তিকে শাস্তি দেব |’(দ্বিতীয় বিবরণ 18:19)
এই (Varse) অনুচ্ছেদ গুলোর ব্যাখ্যা : ভবিষ্যতে আসা নবীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: ◉ তিনি হবেন মুসা আ. এর মত। ◉ তিনি ইসরাইলীদের ভাইদের তথা ইসমাইলিয় বংশ থেকে আসবেন। কারণ এখানে ভ্রাতৃবর্গদের বলা আছে। ইসহাক আঃ ইসমাঈল আঃ এর ভাই । ◉ আল্লাহ তা‘আলা তার বাণী গুলো সেই নবীকে দিয়ে প্রচার করাবেন ও তিনি এসব বাণী মানুষকে জানাবেন। তিনি তার প্রতি নির্দেশিত আয়াত গুলো মানুষকে জানিয়ে দিবেন।
এবার আসুন দেখি এই বৈশিষ্ট্য গুলো নবী মুহাম্মদ সাঃ এর সাথে মিলে যায় কিনা : √ মুসা আঃ ও মুহাম্মদ সাঃ মধ্যে অনেক মিল আছে৷ যেমন তারা উভয়েই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান নিয়ে এসেছেন। তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন নবী ও রাসূল ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং তারা প্রত্যেকেই নিজের মাতৃভূমি থেকে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের কারণে হিজরত করেছেন। মুসা আঃ মিশর থেকে সবাইকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনে । আর মুহাম্মদ সাঃ মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনায় গিয়েছিলেন। কারণ তাদের দুজনকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো তাই। এখানে আমরা গভীর মিল দেখতে পাচ্ছি। মূসা আঃ তাওয়াত পেয়েছিলেন তুর পাহাড়ে, অপরদিকে মুহাম্মদ সাঃ ও প্রথম ওহী পেয়েছিলেন পাহাড়ে । মূসা আঃ ও মুহাম্মদ সাঃ দুজনই স্বাভাবিক ভাবে মারা গিয়েছিলেন। মূসা আঃ বিবাহিত ছিলেন, অপরদিকে মুহাম্মদ সাঃ ও বিবাহিত ছিলেন । মূসা আঃ এর সাথে একমাত্র মুহাম্মদ সাঃ এর বৈশিষ্ট্যেরই গভীর মিল আছে । মূসা আঃ এর সাথে মুহাম্মদ সাঃ ব্যতীত, অন্য কোন নবীর সাথে এই বৈশিষ্ট্য মিলে যায় না। তাই এটা প্রমানিত যে এখানে যেই নবীর কথা বলা হয়েছে তিনি মুহাম্মদ সাঃ।