ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য রিখটার স্কেল ব্যবহার করা হয়। এই স্কেলের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে, ১৯৩৫ সালে। ব্যবহারকারী হচ্ছেন ফ্রান্সিস রিখটার ও বেনো গুটেনবার্গ। ১৯৭০ সাল থেকে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য ব্যবহার শুরু হয় মোমেন্ট ম্যাগনিচিউড স্কেলের।
প্রথম ব্যবহার শুরু করে ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে। এখন যদিও বেশির ভাগ সময় মোমেন্ট ম্যাগনিচিউড স্কেল ব্যবহৃত হয়, তবে জনপ্রিয়তা রিখটার স্কেলেরই বেশি। ভূমিকম্পের উৎপত্তির জায়গা থেকে সাইসমোগ্রাফ যন্ত্রের গড় দূরত্ব ব্যবহার করে ভূমিকম্প থেকে নির্গত শক্তির পরিমাপ করা হয় রিখটার স্কেলে। এই স্কেলের বেইস ধরা হয় ১০।
রিখটার স্কেলে কোনো ভূমিকম্পের মাপ ১ আর কোনো ভূমিকম্পের মাপ ২ হলে, ২ মাপের ভূমিকম্পটি ১ মাপের ভূমিকম্পের চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। আবার কোনো ভূমিকম্পের মাপ ৩ হলে, সেই ভূমিকম্পটি ১ মাপের ভূমিকম্পের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।