পোলার যৌগ -
পোলার যৌগ জানার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সবার আগে জানতে হবে পোলার যৌগ কি? বা Polar Jougo Kake Bole?
যখন কোন জলীয় দ্রবণে দ্রবীভূত অবস্থায় ঋনাত্মক এবং ধনাত্মক প্রান্ত সৃষ্টি করে যেকোনো একটি যৌগ তৈরি করে তাকে পোলার যৌগ বলে। যেমনঃ হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCL)।
পোলার যৌগ জানার পূর্বে সর্বপ্রথম আপনাদেরকে পরমাণু আধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে। আমরা সকলে জানি, পরমাণুর নির্ভর করে শুধুমাত্র ইলেকট্রনের ওপর অর্থাৎ যে কোন পরমাণুতে ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকবে, সেইসাথে ইলেকট্রনিক বৃদ্ধি পেলে তা তড়িৎ ঋনাত্মক হয়ে যায়, কিন্তু ওই পরমাণু যদি ইলেকট্রন কমে যায় তখন তারা তড়িৎ ধনাত্মক হয়ে যায়।
পোলার যৌগ তৈরী হয় -
পোলার যৌগ তৈরি হওয়ার নিয়ম আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের নিম্নে বিস্তারিত তথ্য থেকে জানতে পারবেন।
রসায়ন বিষয়টি অধ্যায়ন করার ফলে আমরা সকলেই জানি যে, পরমাণু হিসেব বিবেচিত এবং সমযোজী যৌগ গুলো ইলেকট্রন ভাগ করে ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু আয়নিক যৌগের ইলেকট্রনের আদান-প্রদান হয়ে থাকে সেহেতু সেখানে পরমাণুর তাদের কাছাকাছি অবস্থান করে থাকে এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাসের গঠন অর্জন করে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে চলে যায়। কিন্তু তখন সেখানে পোলার তৈরি হবার মতো কোনও নির্দিষ্ট অবস্থার বা অবকাশ থাকে না।
তবে অবশিষ্ট সমযোজী যৌগ রয়ে যাবে আর সেখানে ইলেকট্রন দুটি পরমাণু ব্যবহার করে অর্থাৎ ঐ পরমাণুর ইলেকট্রন এর ভারসাম্য ঠিক না হয়ে ঋণাত্মকতার মাত্রা বেড়ে যায় অর্থাৎ পোলার তৈরি হয়ে যায়।
যদি দুটি পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ০.৫ হয় অথবা এর চেয়ে বেশি হয় এবং যদি কোন যৌগ গঠন করে তখন সে যৌগের মধ্যে পোল তৈরি হয়। তবে যে পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি থাকে সে ইলেকট্রন ধরে রাখে। আর এজন্য পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায় এবং এক দিকে যেমন তড়িৎ ঋণাত্মকতা ইলেকট্রনের আধানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে ঠিক তেমনই অবস্থার সৃষ্টি করে। অর্থাৎ/ 4 আধান ঘাটতি দেখা দেয় আর এজন্য সমপরিমাণ উদ্ভব হয়ে থাকে এবং সেখানে সৃষ্টি করে। আর এ ধরনের যৌগ পোলার যৌগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
উদাহরণস্বরূপঃ
নন পোলার যৌগঃ H-H, O-O, N-N, Cl-Cl, F-F, C-H ইত্যাদি। এবং সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোক্সাইড(পানি) ইত্যাদি।