রক্তের বাফার ক্রিয়া:
বাফার ক্রিয়া রক্তের pH-এর ভারসাম্য রক্ষা করে।
কীভাবে?
* দুর্বল অম্ল ও দৃঢ় ক্ষার: রক্তে দুর্বল অম্ল (যেমন কার্বনিক অ্যাসিড) এবং দৃঢ় ক্ষার (যেমন সোডিয়াম বা পটাসিয়াম বাইকার্বোনেট) থাকে।
* অ্যানিয়ন: দুর্বল অম্লের অ্যানিয়ন (যেমন HCO3-) দৃঢ় ক্ষারের ক্যাটিয়ন (যেমন Na+) এর সাথে যুক্ত হয়ে বাফার লবণ তৈরি করে।
* অম্ল বা ক্ষার যোগ: যখন অম্ল বা ক্ষার রক্তে প্রবেশ করে, তখন বাফার লবণ অম্ল বা ক্ষারের অ্যানিয়ন বা ক্যাটিয়ন ধরে রাখে।
* pH স্থিতিশীল: এর ফলে রক্তের pH 7.4-এ কাছাকাছি স্থিতিশীল থাকে।
গুরুত্ব:
* রক্তের pH-এর ভারসাম্য অনেক জৈবিক রাসায়নিক ক্রিয়ার জন্য অত্যাবশ্যক।
* pH-এর পরিবর্তন অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
উদাহরণ:
* ব্যায়ামের সময়, রক্তে কার্বনিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বাফার ক্রিয়া কার্বনিক অ্যাসিডের pH-এর উপর প্রভাব কমিয়ে দেয়।
* ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে অম্লতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
অতিরিক্ত তথ্য:
* রক্তের প্রধান বাফার সিস্টেম হল:
* কার্বনিক অ্যাসিড/বাইকার্বোনেট সিস্টেম
* প্রোটিন/হিমোগ্লোবিন সিস্টেম
* ফসফেট সিস্টেম
* বাফার ক্রিয়া রক্তের pH-এর ভারসাম্য রক্ষা করে আমাদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।