আধুনিক পর্যায় সারণির বৈশিষ্ট্য:
১. পর্যায়:
* পর্যায় হলো পরমাণুর ইলেকট্রনের বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে সারণির সারি।
* পর্যায়ে বাম থেকে ডানে ইলেকট্রনের শক্তির স্তর বৃদ্ধি পায়।
* পরমাণুর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য পর্যায় দ্বারা নির্ধারিত হয়।
২. গ্রুপ:
* গ্রুপ হলো সারণির স্তম্ভ।
* একই গ্রুপের পরমাণুর একই সংখ্যক ভ্যালেন্স ইলেকট্রন থাকে।
* একই গ্রুপের পরমাণুর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য অনেকটা একই রকম।
৩. ব্লক:
* ইলেকট্রনের শক্তির স্তর অনুসারে সারণিকে s, p, d, f ব্লকে ভাগ করা হয়।
* s এবং p ব্লক মুখ্য ব্লক।
* d এবং f ব্লক অভ্যন্তরীণ ব্লক।
৪. ধাতু, অধাতু, এবং উপধাতু:
* পরমাণুর ইলেকট্রনের বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে সারণিকে ধাতু, অধাতু, এবং উপধাতুতে ভাগ করা হয়।
* ধাতুতে ইলেকট্রন ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা থাকে।
* অধাতুতে ইলেকট্রন গ্রহণ করার প্রবণতা থাকে।
* উপধাতু ধাতু ও অধাতুর মধ্যবর্তী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।
৫. পারমাণবিক সংখ্যা:
* প্রতিটি পরমাণুর একটি অনন্য পারমাণবিক সংখ্যা থাকে।
* পারমাণবিক সংখ্যা হলো নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা।
* পারমাণবিক সংখ্যা পরমাণুর পরিচয় নির্ধারণ করে।
৬. পারমাণবিক ভর:
* প্রতিটি পরমাণুর একটি নির্দিষ্ট পারমাণবিক ভর থাকে।
* পারমাণবিক ভর হলো নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের মোট ভর।
* পারমাণবিক ভর আইসোটোপগুলিকে পৃথক করে।
৭. আইসোটোপ:
* একই পারমাণবিক সংখ্যা কিন্তু ভিন্ন পারমাণবিক ভর সম্পন্ন পরমাণুকে আইসোটোপ বলে।
* আইসোটোপের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য একই রকম কিন্তু ভৌত বৈশিষ্ট্য (যেমন ভর) ভিন্ন হতে পারে।
৮. ইলেকট্রন বিন্যাস:
* ইলেকট্রন বিন্যাস হলো পরমাণুর ইলেকট্রনের শক্তির স্তরে বিন্যাস।
* ইলেকট্রন বিন্যাস পরমাণুর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি আধুনিক পর্যায় সারণিকে রাসায়নিক নকশার একটি অপরিহার্য হাতিয়ার করে তোলে।