আরব রাষ্ট্রে গ্রীক দর্শন আমদানি করেছিলেন খলীফা হারুনুর রশীদের পুত্র, পরবর্তী খলীফা - খলীফা মামুনুর রশীদ। গ্রীক দর্শন আমদানির কুফল একজন খৃস্টান পাদ্রীর মুখ থেকেই আমরা শুনি চলুন -
নাফহাতুল আরব কিতাবের লেখক রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে লিখেন -
বর্ণিত আছে, খলিফা মামুনুর রশীদ পারস্যের কোনো এক বাদশাহর সাথে যখন সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন, তখন তিনি তার কাছ থেকে গ্রীক দর্শন সংবলিত গ্রন্থভাণ্ডার চাইলেন। সেগুলো ওই বাশাহের নিকট এমন এক স্থানে রক্ষিত ছিল, যেটা আর কেউ অবহিত ছিলো না। খলীফা মামুনুর রশীদের পক্ষ থেকে সেই গ্রীক দর্শন সংবলিত গ্রন্থ ভাণ্ডার চেয়ে পত্র পাওয়ার পর পারস্য সম্রাট তার নীতি-নির্ধারকদেরকে একত্রিত করে এ প্রসঙ্গে পরামর্শ চাইলেন। তখন শুধুমাত্র একজন পাদ্রী ব্যতীত সকলেই সেই গ্রন্থ ভাণ্ডার প্রদান না করার মতামত দিল। সেই পাদ্রী তখন তার রাজাকে বুঝিয়ে বলল, জাঁহাপনা! আপনি এই গ্রীক দর্শনের গ্রন্থভাণ্ডার তাদেরকে দিয়ে দিন। কেননা-
''এই দর্শনশাস্ত্র যে কোনো ইসলামি রাষ্ট্রেই প্রবেশ করেছে, সে রাষ্ট্রকেই বিনাশ করে দিয়েছে এবং তাদের আলেমদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে দিয়েছে।''
(এটাই হলো মূলত মুসলমানের মধ্যে গ্রীক দর্শন আমদানীর কুফল তথা সর্বনাশ, যা ওই পাদ্রী বুঝতে পেরেছিলো এবং মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির লক্ষ্যেই সে স্বীয় রাজাকে এগুলো খলীফা মামুনুর রশীদকে দিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলো।)
হযরত তাকীউদ্দীন ইবনে তাইমিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলতেন, আমার মনে হয় না যে, আল্লাহ তা'আলা খলিফা মামুনকে এমনিতেই ছেড়ে দিবেন; বরং তিনি এই উম্মতের মাঝে এই গ্রীক দর্শনশাস্ত্র অনুপ্রবেশের দ্বারা যে ক্ষতির দরজা খুলেছেন- এ সম্পর্কে অবশ্যই তাকে জবাবদিহি করতে হবে।