গলা ব্যথার ওষুধ সাধারণত দুই ধরনের হয়:
-
বেদনানাশক ওষুধ: এই ওষুধগুলি ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সাধারণ বেদনানাশক ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসিটামিনোফেন।
-
অ্যান্টিবায়োটিক: যদি গলা ব্যথার কারণ ব্যাকটেরিয়া হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে বা তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়।
গলা ব্যথার জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
-
বেদনানাশক ওষুধ:
-
প্যারাসিটামল (টাইলেনোল, অ্যাডভিল)
-
আইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল, মোট্রিন আইবি)
-
অ্যাসিটামিনোফেন/কোডাইন (ভিকোদিন, টাইলেনোল 3)
-
অ্যান্টিবায়োটিক:
-
অ্যামোক্সিসিলিন (অ্যামোক্সিল)
-
অ্যাম্পিসিলিন (পেনিসিলিন জি)
-
সিপ্রোফ্লক্সাসিন (সিপ্রো)
গলা ব্যথার জন্য ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার রোগীর অবস্থা বুঝে সঠিক ওষুধ এবং ডোজ নির্ধারণ করতে পারবেন।
গলা ব্যথার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসাও সাহায্য করতে পারে। কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
-
গরম পানির গড়গড়া: গরম পানির গড়গড়া গলায় জমে থাকা কফ এবং মিউকাস বের করতে সাহায্য করে।
-
লবণ জল দিয়ে গার্গল: লবণ জল দিয়ে গার্গল করলে গলা পরিষ্কার হয় এবং ব্যথা কমে।
-
মধু খাওয়া: মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
ঘন ঘন তরল পান করা: তরল পান করলে গলা আর্দ্র থাকে এবং ব্যথা কমে।
গলা ব্যথার অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
জ্বর
-
শরীরে ব্যথা
-
সর্দি
-
কাশি
এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি থাকলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।