স্পেসে থাকা বেশিরভাগ অবজেক্ট যেমন গ্রহ, উপগ্রহ এগুলো গোলাকার হয় মূলত মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সমস্ত পদার্থের উপর কাজ করে এবং আকৃষ্ট কণাগুলি একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে পরিণত হয়ে একটি গরম এবং তরল ভর তৈরি করে। সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে এই ভর ঠান্ডা হয়ে একটি গোলাকার পৃষ্ঠ তৈরি করে। এ জন্যেই গ্রহ, উপগ্রহ, গোলকাকার। যেসব গ্রহাণুর অভিকর্ষ অপেক্ষাকৃত কম, তারা গোল হতে পারে না। হয় এবড়ো থেবড়ো। মহাকাশে শুধু গ্রহই নয়, নক্ষত্র বা বড় কোনও উপগ্রহের আকারও গোলাকার হয়। অনিয়মিত বা বিষম আকার দেখা যায়, গ্রহাণু, উপগ্রহ বা ধুমকেতুর মত ছোট আকারের বস্তুর বেলায়। আকার ছোট হওয়ায় ভর কম থাকে এসব বস্তুর। ফলে এদের মধ্যে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল এবং নিউক্লীয় বলকে উপেক্ষা করার মত শক্তিশালী মহাকর্ষ বল তৈরি হয় না। এদের মৌল উপদানগুলোর ওপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় এবং নিউক্লিয়ার বলের তারমতম্য সৃষ্টি হয়। source: NASA