ঘুঘু পাখি ফিমেল না মেল তা বুঝার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
-
শরীরের আকৃতি: সাধারণত, মেল ঘুঘু পাখির শরীর ফিমেল ঘুঘু পাখির তুলনায় বড় হয়। মেল ঘুঘুর মাথাও ফিমেল ঘুঘুর তুলনায় বড় হয়।
-
ডাক: মেল ঘুঘু পাখির ডাক ফিমেল ঘুঘু পাখির ডাকের চেয়ে বেশি জোরে এবং দীর্ঘ হয়।
-
লেজের আকৃতি: মেল ঘুঘু পাখির লেজ ফিমেল ঘুঘু পাখির তুলনায় বেশি লম্বা হয়।
-
শরীরের রঙ: কিছু প্রজাতির ঘুঘু পাখিতে মেল এবং ফিমেল পাখির শরীরের রঙে পার্থক্য দেখা যায়।
-
প্রজনন অঙ্গ: যৌবনে পৌঁছানোর পর, মেল ঘুঘু পাখির প্রজনন অঙ্গগুলি ফিমেল ঘুঘু পাখির তুলনায় বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির ঘুঘু পাখির ক্ষেত্রে মেল এবং ফিমেল পাখি চেনার কিছু উপায় দেওয়া হল:
-
বাংলাদেশী ঘুঘু: মেল ঘুঘুর মাথায় একটি কালো দাগ থাকে, যা ফিমেল ঘুঘুর থাকে না। মেল ঘুঘুর ডানায়ও একটি কালো দাগ থাকে, যা ফিমেল ঘুঘুর থাকে না।
-
ওয়েস্টার্ন টার্কি ঘুঘু: মেল ঘুঘুর মাথায় একটি লাল দাগ থাকে, যা ফিমেল ঘুঘুর থাকে না। মেল ঘুঘুর ডানায়ও একটি লাল দাগ থাকে, যা ফিমেল ঘুঘুর থাকে না।
-
অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু: মেল ঘুঘুর মাথায় একটি সাদা দাগ থাকে, যা ফিমেল ঘুঘুর থাকে না। মেল ঘুঘুর ডানায়ও একটি সাদা দাগ থাকে, যা ফিমেল ঘুঘুর থাকে না।
ঘুঘু পাখিদের যৌবনে পৌঁছানোর পর, তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সহজ হয়ে যায়। তবে, অল্প বয়স্ক ঘুঘু পাখিদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে।