এক্সোপ্লানেটের ক্ষমতার উৎস প্রধানত দুটি:
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো এবং তাপ: বেশিরভাগ এক্সোপ্লানেট তাদের নিজস্ব তারার কাছ থেকে আলো এবং তাপ পায়। এই শক্তি তারাকে ঘিরে থাকা বায়ুমণ্ডল এবং পৃষ্ঠকে গরম করে তোলে।
-
ভিতরের শক্তি উৎস: কিছু এক্সোপ্লানেটের নিজস্ব ভিতরের শক্তি উৎস রয়েছে, যেমন তেজস্ক্রিয় ক্ষয় বা পারমাণবিক সংযোজন। এই শক্তিগুলি গ্রহের ভূত্বক এবং অভ্যন্তরীণ অংশকে গরম করে তোলে।
এক্সোপ্লানেটের ক্ষমতার উৎস নির্ভর করে গ্রহের আকার, ভর, দূরত্ব এবং তারার ধরণের উপর।
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো এবং তাপ
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো এবং তাপ হল এক্সোপ্লানেটের ক্ষমতার সবচেয়ে সাধারণ উৎস। সূর্যের কাছাকাছি থাকা এক্সোপ্লানেটগুলি বেশি পরিমাণে আলো এবং তাপ পায়, যা তাদের পৃষ্ঠকে অনেক গরম করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ সূর্যের কাছাকাছি থাকলে, এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা 400 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ভিতরের শক্তি উৎস
কিছু এক্সোপ্লানেটের নিজস্ব ভিতরের শক্তি উৎস রয়েছে। এই শক্তিগুলি গ্রহের ভূত্বক এবং অভ্যন্তরীণ অংশকে গরম করে তোলে।
-
তেজস্ক্রিয় ক্ষয়: গ্রহের ভূত্বকে এবং অভ্যন্তরীণ অংশে থাকা তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলি ক্ষয়ের মাধ্যমে শক্তি নির্গত করে। এই শক্তি গ্রহের পৃষ্ঠকে গরম করতে পারে।
-
পারমাণবিক সংযোজন: কিছু এক্সোপ্লানেট এতটাই ছোট যে তাদের ভিতরে পারমাণবিক সংযোজন ঘটতে পারে। এই প্রক্রিয়াতে হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি হিলিয়াম পরমাণুতে একত্রিত হয়ে শক্তি নির্গত করে।
উদাহরণ
নিম্নলিখিত উদাহরণগুলি এক্সোপ্লানেটের ক্ষমতার উৎসগুলিকে ব্যাখ্যা করে:
-
পৃথিবী: পৃথিবীর ক্ষমতার মূল উৎস হল সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো এবং তাপ। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে, যা পৃথিবীকে আরও বেশি গরম করে তোলে।
-
বৃহস্পতি: বৃহস্পতির নিজস্ব ভিতরের শক্তি উৎস রয়েছে। বৃহস্পতির ভূত্বকে থাকা তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলি ক্ষয়ের মাধ্যমে শক্তি নির্গত করে। এই শক্তি বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল এবং পৃষ্ঠকে গরম করে তোলে।
-
WASP-12b: WASP-12b একটি অতিবেগুনীতে উজ্জ্বল এক্সোপ্লানেট যা তার তারার খুব কাছাকাছি অবস্থিত। WASP-12b এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা 2,500 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই উচ্চ তাপমাত্রা সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো এবং তাপের কারণে হয়।
ভবিষ্যতের গবেষণা
এক্সোপ্লানেটের ক্ষমতার উৎসগুলি সম্পর্কে আরও জানতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে এক্সোপ্লানেটগুলির তাপমাত্রা এবং আভ্যন্তরীণ গঠন পরিমাপ করে। এই গবেষণাগুলি আমাদের এক্সোপ্লানেটগুলিকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে এবং জীবনের সম্ভাব্য অস্তিত্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে।