যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়।
এনকোডার ও ডিকোডার এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। আনকোডেড (Uncoded) ডেটাকে কোডেড (Coded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে এনকোডার (Encoder) বলে। অন্যদিকে, কোডেড (Coded) ডেটাকে আনকোডেড (Uncoded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে ডিকোডার বলে।
২। এনকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা মানুষের দেয়া ইনপুটকে ডিজিটাল সিস্টেমের বোধগম্য বাইনারি কোডে রূপান্তর করে। অন্যদিকে, ডিকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা ডিজিটাল সিস্টেমের বোধগম্য বাইনারি কোডকে মানুষের বোধগম্য ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
৩। এনকোডারে 2n সংখ্যক ইনপুট লাইন ও সর্বাধিক n সংখ্যক আউটপুট লাইন থাকে। অন্যদিকে, ডিকোডারে n সংখ্যক ইনপুট লাইন ও সর্বাধিক 2n সংখ্যক আউটপুট লাইন থাকে।
৪। এনকোডারে যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র ইনপুট ১ এবং বাকি সকল ইনপুট ০ থাকে। অন্যদিকে, ডিকোডারে যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র আউটপুট লাইনের মান ১ হয় এবং বাকি সকল আউটপুট লাইনের মান ০ হয়।
৫। এনকোডার ইনপুট ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে। অন্যদিকে, ডিকোডার আউটপুট ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে।
৬। এনকোডারের সার্কিটসমূহ সাধারণত বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ইনপুট ডিভাইস যেমন- কী-বোর্ড, মাউস, মোবাইলফোন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ডিকোডার বিভিন্ন প্রকারের ডিসপ্লে (Display) ইউনিট যেমন- মনিটরের ভিডিও এবং আউটপুট ডিভাইসসমূহেও ডিকোডার ব্যবহৃত হয়।