১৯৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লাইড টমবগ(Clyde Tombaugh) আমাদের সৌরজগতের নবম গ্রহ অর্থাৎ প্লুটো (Pluto) আবিষ্কার করেন।তারপর ইংল্যান্ডের এগারো বছরের একটি মেয়ে প্লুটোর নামকরণ করে। এই গ্রহের ৫ টি উপগ্রহ রয়েছে, যাদের নাম - শ্যারন,নিক্স,স্টিক্স,কারবেরোস,হাইড্রা। প্লুটো গ্রহের উপরিভাগে নাইট্রোজেন গ্যাসের স্তর রয়েছে। এর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য সূর্য থেকে প্রায় ৫,৯১৩,৫২০,০০০ কিলোমিটার। সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করা হয় এই গ্রহের তাপমাত্রা খুবই কম, মানে প্রায় মাইনাস ২২৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়।এই গ্রহের ভর ১.৩০৩e২২ কিলোগ্রাম এবং ব্যাস ২৩৭২ কিলোমিটার। আবিষ্কারের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে মানা হতো। কিন্তু ২০০৩ সালে এরিস আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে গ্রহের সংজ্ঞা বদলে যায়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মতে, গ্রহ তাকেই বলা হবে যে- (১) সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে। (২) গোলাকার হবে এবং নির্দিষ্ট ভর থাকবে। (৩) নিজের কক্ষপথের এবং চারপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখবে। অর্থাৎ সামনে থাকা কোন কিছুকে নিজের দিকে টেনে নেবে বা নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। প্রথম দুটি শর্ত মেনে চললেও তৃতীয় শর্তটি প্লুটো মানে না। এই কারনেই ২০০৬ সাল থেকে প্লুটোকে গ্রহ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন এটিকে বামন গ্রহ (Dwarf Planet) বলা হয়।