সার্বজনীন পেনশন হলো বাংলাদেশ সরকারের অবসরভাতা উদ্যোগের একটি ব্যবস্থা। একজন ব্যক্তির বয়স ও অবদানের হিসাবের উপর নির্ভর করে এই সুবিধার তারতম্য হয়ে থাকে। যদি অবদানের ন্যূনতম সংখ্যক অবদানের যোগ্যতার বছর থাকে সেক্ষেত্রে কেউ পেনশন দাবি করতে পারে।
সার্বজনীন পেনশন সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছায় এই পেনশন পেতে পারেন, ভবিষ্যতে এই পেনশন সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে। পেনশন পেতে হলে একজন নাগরিককে কমপক্ষে দশ বছরের জন্য অবদান রাখতে হবে, যার পরিমাণ তিনি নিজেই নির্দিষ্ট করতে পারবেন। দশ বছর বয়সের আগে কেউ মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের টাকা দেওয়া হবে। বেসরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তাদের সংস্থাটি সার্বজনীন পেনশনে যোগদান করলে তাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। বছর শেষ হওয়ার আগে সম্পূর্ণ অবদানের অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে অস্থায়ী সময়ের জন্য পেনশন হিসাব স্থগিত করা হবে যা বকেয়া পরিশোধের মাধ্যমে সক্রিয় করা যেতে পারে। পেনশন হিসাবধারীর বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলে তারা মাসিক হারে পেনশন পেতে থাকবেন যা তাদের জমাকৃত পরিমাণের মোট পরিমাণ ও বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের সমান হবে। ৮০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার ৫ বছর আগে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ব্যক্তির পেনশন তার মনোনীত ব্যক্তিকে দেওয়া হবে। জমাকৃত অর্থের অর্ধেক অর্থ ঋণ হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি ১৮ থেকে ৪২ বছর বয়স পর্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে অবদান রাখেন, তবে ৬০ বছর বয়স থেকে তারা প্রতি মাসে পেনশন হিসাবে ৳৬৪,৭৭৬ পাবেন এবং যদি কেউ ৩০ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর ধরে অবদান রাখেন তবে তাকে প্রতি মাসে ৳১৮,৯০৮ দেওয়া হবে।