আইয়ুব খানকে "লৌহ মানব" বলা হতো তার কঠোর শাসনব্যবস্থার জন্য। তিনি ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত স্বৈরশাসক হিসেবে শাসন করেন। তার শাসনব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত কঠোর। তিনি বিরোধীদের দমন-পীড়ন করেন, গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখেন এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে হরণ করেন।
আইয়ুব খানের কঠোর শাসনব্যবস্থার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল:
-
তিনি সামরিক আইন জারি করেছিলেন এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে ফেলেছিলেন।
-
তিনি বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং তাদের নেতাদের গ্রেফতার করেছিলেন।
-
তিনি সংবাদপত্র ও মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন।
-
তিনি ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে হরণ করেছিলেন।
আইয়ুব খানের কঠোর শাসনব্যবস্থার কারণে তাকে "লৌহ মানব" বলা হতো। তার শাসনব্যবস্থা পাকিস্তানে গণতন্ত্রের বিকাশকে ব্যাহত করে এবং দেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়।
আইয়ুব খানের লৌহ মানব উপাধি সম্পর্কে বিভিন্নজনের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন যে, তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী নেতা যিনি পাকিস্তানকে স্থিতিশীলতা এনেছিলেন। অন্যরা মনে করেন যে, তিনি ছিলেন একজন স্বৈরশাসক যিনি পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিলেন।