ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।

সদস্যঃ RASIKULINDIA

আমি সদস্য হয়েছি: 2 বছর ( 15 সেপ্টেম্বর, 2022 থেকে )
সদস্যের ধরন: অনুমোদিত সদস্য
পূর্ণ নাম (Full name): RASIKUL ISLAM
আমার পেশা (Occupation): Webserver Maintenance
লিংগ (Sex): Male
নিজ জেলা (District): Murshidabad
ফেসবুক লিংক (Facebook link): https://www.facebook.com/groups/SLUHL
আমার সম্পর্কে আরো কিছু: আসসালামু আলাইকুম সন্মনিত ভিজিটর বিশেষ ভাবে মনে রাখবেন???? এখানে পাবেন হাদিসের ব্যাক্ষা,বিষয় ভিত্তিক কুরানের আয়াত, ইসলামিক পিকচার গ্যালারী, ????বিষয় ভিত্তিক আর্টিকেল, শায়খ ভিত্তিক বই, বিষয় ভিত্তিক বই, অডিও শায়খ ভিত্তিক ও বিষয় ভিত্তিক????হীহ-সুন্নাহ-ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল,ইসলামিক পত্রিকা?
Welcome to my Website-
জানা-অজানা- বিষয়ভিত্তিক আর্টিকল ও প্রশ্ন উত্তর সিরিজ✍️ ????https://sarolpoth.blogspot.com/
https://salafimp3web.blogspot.com/ সর্বসেরা অডিও লেকচার ওয়েব সাইট।
বিষয় ভিত্তিক বিশুদ্ধ বই পেতে-????
https://salafi-pdfbooks.blogspot.com/

RASIKULINDIA এর কার্যক্রম

স্কোরঃ 50 পয়েন্ট (র‌্যাংক #1,306)
প্রশ্ন: 0
উত্তরঃ 0
মন্তব্যসমূহ: 0
ভোট দিয়েছেনঃ 0 টি উত্তর
দান করেছেন: 0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট
প্রাপ্ত: 0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট

RASIKULINDIA এর দেওয়াল

এই দেওয়ালে পোস্ট করতে চাইলে দয়া করে প্রবেশ করুন কিংবা নিবন্ধিত হউন
????আহলে হাদিসরা যেসব কাজগুলো করে না।।????????
❌ ওরা শিরক করে না,
❌ ওরা বিদ্'আত করে না,
❌ ওরা মিলাদ পড়ে না,
❌ ওরা শবে-বরাত পালন করে না,
❌ ওরা মিলাদুন্নবী করে না,
❌ ওরা ফরয সালাত শেষে ইমামের সাথে সম্মিলিত মুনাজাত করে না,
❌ ওরা কোন ভাস্কর্যতে ফুল দেয় না,
❌ ওরা কবরে ফুল দেয় না,
❌ ওরা মুর্তি পুজা করে না,
❌ ওরা কবর/মাযার পুজা করে না,
❌ ওরা পীর পুজা করে না,
❌ ওরা পীর ধরে না, মুরিদ হয় না,
❌ ওরা কোন ব্যক্তির অন্ধ অনুসরণ করে না,
❌ ওরা গণকের কাছে যায় না,
❌ ওরা রাসূল (সা:) এর ইসলাম ছাড়া অন্য কারো বানানো ধর্ম পালন করে না,
❌ ওরা দলিল না পেলে ইবাদত করে না,
❌ ওরা জাহেলের মত কথা বলে না,
❌ ওরা পরের জন্য কুর'আন তেলাওয়াত করে টাকা নেয় না,
❌ ওরা মৃতব্যক্তির জন্য চারদিন, চল্লিশা ও মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করে না।
???? ওরা বিশ্বাস করে-
ভাড়াটে হুজুর/মোল্লা ডেকে দো'আ মাহফিল করালে/বিভিন্ন খতম পাঠ করালে ইহকাল/পরকালে কোন উপকার পাওয়া যাবেনা/যায় না।
● নিজ আমল/ইবাদত দ্বারাই আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। আল্লাহ্‌র নিকট চাইতে কোন মাধ্যম লাগেনা। আল্লাহ্‌র নিকট সরাসরি নিজেকেই চাইতে হবে।
================
■ ‘বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহ্‌রই আয়াত্ত্বাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য’ [আল-কুর'আন; সূরা-যুমার ৪☝️@rasikulindia
19 নভেম্বর, 2023 করেছেন RASIKULINDIA
https://whatsapp.com/channel/0029VaDsC69DJ6HAuZhyc50q/119
সৌভাগ্যময় জীবন লাভের উপায় (পর্ব-২)
________
✍ শায়খ আব্দুর রহ’মান ইবনে নাসির আস-সা’দী (মৃত্যু ১৩৭৬ হিজরী) রহি’মাহুল্লাহ বলেন,
“সৌভাগ্যময় জীবনের পূর্ণাঙ্গ উপায় সমূহ হচ্ছে,
(১) ঈমান ও সৎকর্ম,
(২) সৃষ্টির প্রতি ইহসান,
(৩) কাজ-কর্ম ও উপকারী জ্ঞান অর্জনে ব্যস্ত থাকা,
(৪) সকল চিন্তা-ভাবনাকে দৈনন্দিন কাজের গুরুত্বের উপর ঐক্যবদ্ধ করা,
(৫) বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা,
(৬) আল্লাহর নিয়ামতের আলোচনা করা,
(৭) দুনিয়াবী জীবনের ক্ষেত্রে কম নেয়ামতপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য করা,
(৮) দুঃশ্চিন্তার কারণ দূরকরণে ও সুখ-শান্তি অর্জনের উপায় অবলম্বনে সচেষ্ট হওয়া,
(৯) দ্বীন, দুনিয়া ও আখেরাতকে সুন্দর করার জন্য প্রার্থনা করা,
(১০) বিপদ-মুসিবত লাঘব করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা-সাধনা করা,
(১১) মনোবল বৃদ্ধি এবং কল্পনাপ্রসূত অস্বস্তি ও আবেগ-উত্তেজনা বর্জন করা,
(১২) আল্লাহর উপর ভরসা করা,
(১৩) মন্দ আচরণের পরিবর্তে ইহসান করা।
________
???? “সৌভাগ্যময় জীবনের পূর্ণাঙ্গ উপায়” (الوسائل المفيدة للحياة السعيدة)
19 নভেম্বর, 2023 করেছেন RASIKULINDIA
https://whatsapp.com/channel/0029VaDsC69DJ6HAuZhyc50q/118
সৌভাগ্যময় জীবন লাভের উপায় (পর্ব-১)
______
শায়খ সালিহ আল-ফাওজান হা'ফিজাহুল্লাহ বলেন,
“জীবনে সুখী হওয়ার মাধ্যম হচ্ছে, কোন ব্যক্তিকে নিম্নোক্ত এই চারটি গুণাবলী অর্জন করাঃ
(১) ইলম (দ্বীনের জ্ঞান),
(২) নেক আমল,
(৩) আল্লাহর দিকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া,
(৪) আল্লাহর পথে চলার সময় বালা-মুসীবতের সম্মুখীন হলে ধৈর্য ধারণ করা।”
শারহ সালাতুল উসূলঃ ৩৬।
______
ফযীলাতুশ-শায়খ আব্দুর রাযযাক্ব আল-বদর হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন,
“যখন কোন ঘরের বাসিন্দারা আল্লাহর আনুগত্যে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবে, তখন সেই ঘরে আল্লাহ বরকত দান করবেন।
পক্ষান্তরে যদি কোন ঘরের বাসিন্দারা আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়, তখন সেই ঘর থেকে আল্লাহ বরকত তুলে নিবেন।”
শারহ আদ-দা ওয়াদ-দাওয়াঃ ১৮।
19 নভেম্বর, 2023 করেছেন RASIKULINDIA
https://sarolpoth.blogspot.com/2023/02/blog-post.html
এক মুসলমান ভাইয়ের ওপর অন্য মুসলমান ভাইয়ের হক বা অধিকার।
????ইসলাম যে সব হক বা অধিকারের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো-এক মুসলমান ভাইয়ের ওপর অন্য মুসলমান ভাইয়ের হক বা অধিকার। পবিত্র কোরানে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় মুমিনরা পরস্পর ভাই-ভাই। কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আশা করা যায় তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবে। [সুরা আল হুজুরাত : ১০]

????নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৭টি কাজ করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন আর ৭টি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। বিষয়গুলো মানুষের স্বাভাবিক জীবনের সঙ্গে জড়িত আর এর মাঝে মানবিকতার বিষয়ও রয়েছে। এ বিষয়গুলোর মধ্যে মহান আল্লাহ রেখেছেন অনেক সওয়াব ও ফজিলত। হাদিসের বর্ণনায় ওঠে আসা এ কাজগুলো কী?

????হাদীসঃবারা’আ ইবনু আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাতটি বিষয়ে আমাদের(কাজ করার) নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন-
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الأَشْعَثِ قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا بِاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِي وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ وَرَدِّ السَّلاَمِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَنَهَانَا عَنْ آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَخَاتَمِ الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ وَالْقَسِّيِّ وَالإِسْتَبْرَقِ

????৭ কাজের নির্দেশ
✍️১. জানাজার অনুগমন(পিছনে পিছনে যাওয়া) করা,
✍️২. রুগ্ন/অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেওয়া,
✍️৩. দাওয়াত দাতার দাওয়াত গ্রহণ করা,
✍️৪. মাজলুমকে সাহায্য করা,
✍️৫. কসম থেকে দায়মুক্ত করা,
✍️৬. সালামের জবাব দেওয়া এবং
✍️৭. হাঁচিদাতাকে (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে) সন্তুষ্ট করা।

????আর তিনি (৭টি বিষয়) নিষেধ করেছেন-
✍️১. রুপার পাত্র (ব্যবহার),
✍️২. সোনার আংটি (ব্যবহার),
✍️৩. রেশম (পোশাক ব্যবহার),
✍️৪. দীবাজ (পাতলা রেশমের পোশাক ব্যবহার),
✍️৫. কাসসি (কেস রেশম ব্যবহার),
✍️৬.ইস্তিবরাক (তসরজাতীয় রেশম),[মোটা রেশম], ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
✍️৭. লাল নরম গদীতে বসতে।
✔️[সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশনঃ ১২৩৯;৪৭৯৭, ৪৭৯৭,৫১৭৫;  (২৪৪৫, ৫১৭৫, ৫৬৩৫, ৫৬৫০, ৫৮৩৮, ৫৮৪৯, ৫৮৬৩, ৬২২২, ৬২৩৫, ৬৬৫৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৭)]

????উল্লেখ্য, সোনা-রুপার পাত্র সব মুসলিমের জন্য হারাম। তবে কোনো পাত্র ভেঙে গেলে তা সোনা-রুপার তার দিয়ে জোড়া ও ঝালাই দেওয়া বৈধ হবে। আর সোনার অলঙ্কার ও রেশমের পোশাক পুরুষদের জন্য হারাম হলেও তা নারীদের জন্য বৈধ। তবে পুরুষদের কারও কারও শরীরে চুলকানি বা ঘা ইত্যাদির কারণে রেশমের পোশাক ব্যবহারও বৈধ।
 الْقَسِّيِّ ‘ক্বাসসী’ সহীহুল বুখারীতে পোশাক অধ্যায়ে এর ব্যখ্যা এসেছে যে এমন কারুকার্য খচিত রেশমী কাপড় যা শাম (সিরিয়া) অথবা মিসর হতে আনা হত(তৎকালে)।

জাযারী বলেনঃ মিসর হতে আমদানীকৃত রেশমযুক্ত কাত্তানী তাঁত কাপড়। রূপার পাত্র হারাম সোনার পাত্র আরও বেশি হারাম। অন্য হাদীসে সুস্পষ্টভাবে তা হারাম করেছে। আর এটা হারাম অপচয় ও অহংকারের জন্য। খাত্ত্বাবী বলেন, এ বিষয়গুলো হুকুমের বিধানের ভিন্নতা রয়েছে। ‘আম, খাস এবং ওয়াজিব। সুতরাং সোনার আংটি অনুরূপ যা উল্লেখ্য রেশম ও দিবাজ পরিধান করা খাস করে পুরুষের জন্য হারাম। আর রৌপের পাত্র ‘আমভাবে পুরুষ, মহিলা সকলের জন্য হারাম, কেননা তা অপচয় ও অহংকারের পথ।
✔️[মুসলিমঃ ২০৬৬, আত্ তিরযিমীঃ ২৮০৯, নাসায়ীঃ ১৯৩৯, ৫৩০৯, আহমাদঃ ১৮৫০৪, সহীহ আদাবুল মুফরাদঃ ৯২৪, সুনানুল কুবরা লিল নাসায়ীঃ ২০৭৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বীঃ ৫৮৪৬]

????এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি-কোন বর্ণনায় ৪টি হক আসলে মুলত ৬টি হক, এর মধ্যে কোণ রকমের পার্থক্য নেই।
✍️১. সালামের জওয়াব দেওয়া,
✍️২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেওয়া,
✍️৩. জানাজার পশ্চাদানুসরণ করা,
✍️৪. দাওয়াত কবুল করা এবং
✍️৫. হাঁচিদাতাকে খুশি করা (আল-হামদুলিল্লাহর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।'
(বুখারি ১২৪০), সুনান ইবনু মাজাহঃ২/১৪৩৪; আহমাদ ২১৮৩৭ সহীহাহ ২১৫৪, ১৮৩২ তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

????হাদিসের শিক্ষা:
এ হাদিসে এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের প্রাপ্য পাঁচটি হকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ পাঁচটি হকই ফরজে কিফায়া পর্যায়ের। হকগুলো হলো-
✍️১. সালাম দেয়া সুন্নাত; উত্তর দেয়া ওয়াজিব। এটি এমন একটি সুন্নাত, যা ফরজের মতোই উত্তম। কেননা সালামের মাধ্যমে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ পায়। এর মাধ্যমে একটি ওয়াজিব আদায় করা হয়।
✍️২. প্রতিবেশি অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া সুন্নাত। তাঁর খোঁজ খবর নেওয়া। এমনকি প্রতিবেশি যদি অমুসলিমও হয় তবুও তার খোঁজ-খবর নেওয়া জরুরি।

✍️৩. মৃতব্যক্তির জানাযায় অংশগ্রহণ করা ফরজে কিফায়া। মৃতব্যক্তির জানাযা আদায় থেকে দাফন পর্যন্ত সঙ্গ দেওয়া মুস্তাহাব।
✍️৪. দাওয়াতের দুটি অর্থ হতে পারে-
????ক. কাউকে সাহায্য করার জন্য কেউ আহ্বান করলে, তাঁর ডাকে সাড়া দেওয়া;
????খ. কারো দাওয়াত কবুল করা; এ দাওয়াত কবুল করা তখনই আবশ্যক, যখন তা গ্রহণ করলে কোনো গোনাহ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। এমনিভাবে মেজবানের কামাই-রোজগার যদি হালাল হয় তবে দাওয়াত গ্রহণ করা ওয়াজিব। আর কামাই-রোজগার যদি সুস্পষ্ট হারাম হওয়া প্রমাণিত হয় তবে দাওয়াত বর্জন করা ওয়াজিব।

➧ আর বিশেষভাবে দাওয়াতের ক্ষেত্রে কথা হল,
শরিয়ত সম্মত কোন ওজর থাকলে দাওয়াত দাতার নিকট কথা বলে নিজের অপারগতা প্রকাশ করা উচিৎ।

তবে স্মরণ রাখা জরুরি যে, কেউ যদি বিদআতি ও পাপাচার সংঘটিত হয় এমন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয় তাহলে তাতে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নেই। যেমন:
– মিলাদ মাহফিল।
– কুলখানি।
– চল্লিশা...
– জন্মবার্ষিকী।
– মৃত্যুবার্ষিকী।
– বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি অনুষ্ঠান।
– এবং যে সকল অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, গান-বাজনা এবং বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম রয়েছে। এ জাতীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ নয়।

এছাড়া আকিকা, ওলিমা, ঈদ উপলক্ষে বা বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা উচিত। একান্ত ওজর ব্যতিরেকে এসকল দাওয়াত গ্রহণ না করলে মুসলিম হিসেবে প্রাপ্য হক পালন না করার কারণে গুনাহগার হতে হবে। আল্লাহু আলাম। উত্তর প্রদানে:আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
✍️৫. কোনো মুসলমান হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে, তাঁর উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। হাঁচির উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে মানুষ ভালো-মন্দ উভয়েই সমান। তবে নেককারদের হাঁচির জবাব হাসিমুখে দেওয়া উত্তম। ✔[সুনান ইবনু মাজাহঃ ৩/১৪৩৫; সহীহুল বুখারী ১২৪০, মুসলিম ২১৬২, নাসায়ী ৫০৩০ আহমাদ ২৭৫১১ সহীহাহ ১৮৩২]

????সালামের জবাব দেয়া ফারযে আইন একজন হলে আর জামা‘আতবদ্ধ হলে ফারযে কিফায়াহ্। জানাযায় অংশগ্রহণ বলতে সলাতুল জানাযাহ্ শেষে দাফনের উদ্দেশে লাশের পেছনে চলা। তবে এটা ফারযে কিফায়াহ্। দা‘ওয়াত কবূল করা শারী‘আত অনুমোদিত যদি কোন প্রকার শার‘ঈ বা অন্য কোন বাধা না থাকে আর এটা ওয়ালীমার চেয়েও ব্যাপক। হাঁচির জবাবে يَرْحَمُكَ الله বলবে যদি সে اَلْحَمْدُ لِلّهِ বলে।[মিসকাতঃ ১৫২৪]

????সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিম তার অসুস্থ কোন মুসলিম ভাইকে দেখার জন্য চলতে থাকে, সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে ।
✔️[সহীহ :মিসকাতঃ ১৫২৭; মুসলিমঃ ২৫৬৮, আত্ তিরমিযীঃ ৯৬৭, আহমাদঃ ২২৪৪৪, ইবনু হিব্বানঃ ২৯৫৭, সহীহ আত্ তারগীবঃ ৩৪৭৫, সহীহ আল জামিঃ‘ ১৯৪৮]

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁদের হকগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

????হাদীস:০২, মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের অধিকার ছয়টি: তুমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাকে সালাম দাও, সে তোমাকে দাওয়াত দিলে তার দাওয়াত গ্রহণ কর, সে তোমার কাছে উপদেশ চাইলে তুমি তাকে উপদেশ দাও, সে হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললে তার জবাব দাও, সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাও এবং সে মারা গেলে তার জানাযায় অংশ গ্রহণ কর।
عن أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعاً: «حقُّ المسلم على المسلم ست: إذا لَقِيتَهُ فسَلِّمْ عليه، وإذا دعاك فَأَجِبْهُ، وإذا اسْتَنْصَحَكَ فانْصَحْهُ، وإذا عَطَسَ فَحَمِدَ الله فسَمِّتْهُ، وإذا مرض فعُدْهُ، وإذا مات فاتَّبِعْهُ»
[صحيح] - [رواه مسلم]
✍️আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের অধিকার ছয়টি: তুমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাকে সালাম দাও, সে তোমাকে দাওয়াত দিলে তার দাওয়াত গ্রহণ কর, সে তোমার কাছে উপদেশ চাইলে তুমি তাকে উপদেশ দাও, সে হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললে তার জবাব দাও, সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাও এবং সে মারা গেলে তার জানাযায় অংশ গ্রহণ কর।”  ????সহীহ - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
????ব্যাখ্যা:-
ইসলাম মহব্বত, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের দীন; ফলে ইসলাম এসব ব্যাপারে সর্বাধিক উৎসাহ এবং আগ্রহ দেখায়। এ কারণেই যেসব কারণসমূহ এ ধরণের মহান লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করে তার প্রচলন ইসলাম করেছে। এসব লক্ষ্যসমূহের গুরুত্বপূর্ণ হলো মুসলিম জনগণের মাঝে সামাজিক দায়িত্বগুলো আদায় করা। যেমন, সালামের প্রসার করা, দাওয়াতে সাড়া দেওয়া, পরামর্শে ভালো উপদেশ দেওয়া, হাঁছির উত্তর দেওয়া, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া এবং জানাযায় উপস্থিত হওয়া।

????হাদীস:এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার: সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচী দাতার জবাব দেওয়া।
عن أبي هريرة رضي الله عنه : أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:«حقُّ المُسلمِ على المُسلمِ خمسٌّ: ردُّ السلام، وعِيَادَةُ المريض، واتباع الجنائز، وإجابة الدَّعوة، وتَشميتُ العاطِس».
[صحيح] - [متفق عليه]
✍আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার: সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচী দাতার জবাব দেওয়া।”
✔️সহীহ-মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)১২৪০; (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৮);  (মুসলিমঃ ৩৯/৩, হাঃ ২১৬২, আহমাদঃ ৮৪০৫)

????ব্যাখ্যা:-
এ হাদীসটিতে একজন মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অপর মুসলিম ভাইয়ের প্রতি যে সব অধিকার রয়েছে তার কতক অধিকারের আলোচনা করা হয়েছে। একজন মুসলিমের অধিকার তার ভাইয়ের ওপর অনেক। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো অনেক বস্তু থেকে কয়েকটি বস্তু আলোচনা করেন তার প্রতি গুরুত্ব ও আগ্রহী করে তোলার জন্যে। এ সবের থেকে কতক অধিকার হলো যা আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এক মুসলিমের অপর মুসলিমের উপর পাঁচটি অধিকার রয়েছে: সালামের জবাব দেওয়া”।

অর্থাৎ, যখন তোমাকে সালাম দেয় তুমি সালামের উত্তর দাও। অপর একটি হাদীসে বর্ণিত, “এক মুসলিমের অধিকার অপর মুসলিমের ওপর ছয়টি। যখন তুমি তার সাথে সাক্ষাৎ করবে তুমি তাকে সালাম দেবে”। যে ব্যক্তি মুসলিমদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে এ সব অধিকার যথাযথ আদায় করবে সে অন্যান্য অধিকার আদায়ে আরো বেশি যত্নবান হবে। আর এ সব অধিকার ও দায়িত্বসমূহ আদায়ে তার জন্য লাভ হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে অসংখ্য কল্যাণ ও মহান বিনিময় যদি সে তা সাওয়াবের আশায় আঞ্জাম দেয়।
????প্রথম অধিকার হলো: যখন তুমি সাক্ষাৎ করবে তখন তুমি তাকে সালাম দেবে। অপর হাদীসে বর্ণিত “সালামের উত্তর দেওয়া।”
????দ্বিতীয় হক: রুগীকে দেখতে যাওয়া। যখন সে রোগে আক্রান্ত হয় নিজ গৃহে অথবা হাসপাতালে অথবা অন্য কোথাও একা হয়ে পড়ে, তখন তার জন্য তার মুসলিম ভাইদের ওপর অধিকার যে তারা তাকে দেখতে যাবে।
????আর তৃতীয় অধিকার হলো, জানাযার সঙ্গে যাওয়া ও তাকে বিদায় দেওয়া। কারণ, একজন মুসলিম ভাইয়ের ওপর একজন মুসলিমের অধিকার হলো তার জানাযার সঙ্গে তার ঘর থেকে সালাতের স্থান পর্যন্ত চাই মসজিদ হোক বা অন্য কোন জায়গা হোক এবং সেখান থেকে কবর পর্যন্ত যাওয়া।
????চতুর্থ অধিকার হলো, দাওয়াত কবুল করা। একজন মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের অধিকার হলো যখন দাওয়াত দেবে তাতে সাড়া দেবে।

????আর পঞ্চম অধিকার হলো, হাঁচী দিলে তার জবাব দেওয়া। কারণ, হাঁচি আল্লাহর পক্ষ থেকে নি‘আমত। কারণ, তাতে মানুষের দেহের বিভিন্ন অঙ্গে জমে থাকা দুষিত বাতাসকে বের করে দেয়। আল্লাহ তা বের হওয়ার জন্য একটি ছিদ্র সহজ করে দেন। যার ফলে হাঁচিদাতা আরাম পায়। তাই আল্লাহ তা‘আলা এ নি‘আমতের ওপর তার জন্য আল্লাহর প্রশংসা করাকে প্রচলন করেন। আর (শ্রবণকারী) তার ভাইয়ের জন্য ইয়ারহামুকাল্লাহ বলার প্রচলন করেন। আবার তাকে (হাঁচীদাতাকে) নির্দেশ দেন যে, সে যেন এ বলে, ‘আল্লাহ তোমাকে সঠিক পথ দেখাক এবং তোমার যাবতীয় কর্ম সংশোধণ করে দিক’ তাকে (শ্রবণকারী উত্তরদাতাকে) উত্তর দেয়। যে ব্যক্তি হাঁচি দেওয়ার পর আল্লাহর প্রশংসা করল না সে উত্তর পাওয়ার অধিকার রাখল না। সে নিজেকে ব্যতীত কাউকে দোষারোপ করার অধিকার রাখে না।

????হাঁচির জবাব দেয়ার হুকুমের ক্ষেত্রে ‘আলিমদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। যেমন হাফিয ইবনু হাজার ‘আসকালানী(রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাঁচির জবাব দেয়া ওয়াজিব। কারণ, আবূ হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস রয়েছে, فَحَقٌّ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهٗ أَنْ يُشَمِّتَهُ।

✔️ইবনু আবূ জামরাহ্ বলেনঃ একদল ‘আলিম এটাকে ফরযে ‘আইন বলে অভিহিত করেছেন। ইমাম ইবনুল কইয়িম (রহিমাহুল্লাহ) এ মতটিকে তাঁর সুনানের মধ্যে জোর দিয়ে বলেছেন। আরেকদল বিদ্বান এটাকে ফরযে কিফায়াহ্ বলেছেন। অতএব যখন কেউ এর জবাব দেয় তখন তা সবার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হয়ে যাবে। জামহূর হাম্বালী, হানাফী ও আবুল ওয়ালীদ ইবনু রুশদ প্রমুখ এরূপ মত পেশ করেন। মালিকীদের একদল ও ‘আবদুল ওয়াহ্ব মুস্তাহাব বলেছেন।

এ ধরনের মত শাফি‘ঈ মতাবলম্বীদেরও। হাফিয(রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ সহীহ হাদীস দ্বারা জবাব দেয়া কিফায়াহ্। ওয়াজিব প্রমাণিত হলেও দ্বিতীয় মতটি দলীলের দিক থেকে অগ্রাধিকারযোগ্য। কারণ হাঁচির জবাবদান যদিও ‘আমভাবে বর্ণিত হয়েছে তবুও এর দ্বারা সবাইকে সম্বোধন করা হয়েছে।
✔️ইবনুল কইয়িম (রহিমাহুল্লাহ) ‘‘যাদুল মা‘আদ’’ গ্রন্থে হাঁচির জবাব সম্পর্কে একাধিক হাদীস নিয়ে এসেছেন তন্মধ্যে প্রথমে বুখারী কর্তৃক বর্ণিত আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللهَ فَحَقٌّ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهٗ أَنْ يُشَمِّتَهٗ হাদীসটি উল্লেখ ক
4 ফেব্রুয়ারি, 2023 করেছেন RASIKULINDIA
✍️উম্মতে মুহাম্মাদীর বৈশিষ্ট্য:
✍️১) উম্মতে মুহাম্মদীর প্রধান বৈশিষ্ট্য তারা সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত।
✍️২) এই উম্মতের দ্বীন সনদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত।
✍️৩) এই উম্মত বাতিল বা বিভ্রান্তিকর বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করবে না।
✍️৪) এই উম্মতকে জোর করে কোন পাপ করালে বা অনিচ্ছাকৃত কোন অপরাধে লিপ্ত হলে বা ভুলক্রমে কোন ফরয আমল ছুটে গেলে বা অন্তরে কোন গুনাহের উদ্রেক হলে তার গুনাহ আল্লাহ লিখবেন না।
✍️৫) এই উম্মতকে পাপের কারণে আল্লাহ সমূলে ধ্বংস করে দিবেন না।
✍️৬) এই উম্মত অল্প আমলে বেশি প্রতিদান পাবে। একটি আমলের বিনিময় ১০গুণ থেকে ৭০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ বা আরো বেশী করা হয়।
✍️৭) এই উম্মতের শরীয়তের আমলগুলোকে আল্লাহ বাধামুক্ত করে সহজ করে দিয়েছেন। যেমন বনী ইসরাঈলের লোকেদের (ক) শরীরের পেশাব লাগলে সেই চামড়া কেটে ফেলে পবিত্র করতে হত। (খ) নারীর ঋতু হলে তাকে সম্পূর্ণরূপে ঘর থেকে বাইরে রাখা হতো, (গ) রোযা রাখলে পানাহারের সাথে সাথে কথাবর্তাও বন্ধ রাখতে হতো, (ঘ) অন্যায়ভাবে খুন হলে কেসাস ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় ছিল না, (এই উম্মতে কেসাসের বিধানের সাথে সাথে খুনীকে ক্ষমা করে দিয়ত গ্রহণেরও সুযোগ আছে)

✍️৮) এই উম্মতের নবীকে আল্লাহ পাঁচটি জিনিস দিয়েছেন, যা কোন নবীকে দেননি:
✍️(১) এক মাসের দূরত্ব পথে থাকতেই কাফের আমার নাম শুনলেই ভয় পাবে।
★দুনিয়ার সমস্ত যমীনকে তায়াম্মুমের উপযোগী ও নামাযের স্থান হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধা দেয়া হয়েছে।
★সমগ্র মানব জাতির জন্যে আমাকে সুসংবাদকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।
★গনিমতের মালকে হালাল করা হয়েছে।
★কিয়ামত দিবসে আমাকে শাফায়াতকারী হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে।
✍️৯) এই উম্মতকে জুমআর দিবস দান করা হয়েছে। যা সকল দিবসের মাঝে শ্রেষ্ঠ।
✍️১০) এই উম্মতের নামাযের কাতারগুলোকে ফেরেশতাদের কাতারের ন্যায় সম্মানিত করা হয়েছে।
✍️১১) এই উম্মত আল্লাহর জমিনে আল্লাহর সাক্ষী।
✍️১২) এই উম্মত আখেরাতে নবীদের জন্যে সাক্ষী স্বরূপ।
✍️১৩) এই উম্মতকে হাশরের ময়দানে ওযুর কারনে চেনা সহজ হবে। তাদের মুখমণ্ডল ও হাত-পা উজ্জল হবে।
✍️১৪ ) এই উম্মত সবার পরে দুনিয়াতে এসে সবার আগে পুলসিরাত পার হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে।
✍️১৫) এই উম্মত জান্নাতীদের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি হবে। জান্নাতীদের মোট কাতার হবে ১২০টি। তম্মধ্যে উম্মতে মুহাম্মদীর কাতার সংখ্যা হবে ৮০টি এবং বাকী ৪০টি অন্যান্য সকল উম্মতের জন্য।
✍️১৬) এই উম্মতের নবীকে কুরআনুল কারীম দান করা হয়েছে। যার হেফাযতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ পাক গ্রহণ করেছেন।
✍️১৭) একজন সম্মানিত নবী (ঈসা আলাইহিস সালাম) এই উম্মতের মধ্যে অনুসারী হিসেবে শামিল হবেন এবং এই উম্মতের একজন ইমামের পিছনে সালাত আদায় করবেন।
✍️১৯) এই উম্মতের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে সালাম দেওয়া ও সালাতে আমীন বলা, যা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের হিংসার অন্যতম কারণ।
✍️২০) এই উম্মতের মাঝে আল্লাহ প্রতি ১০০ বছরে একজন করে মুজাদ্দেদ বা দ্বীন সংস্কারক পাঠাবেন।
✍️২১) এই উম্মতের কোন ব্যক্তি ‘ত্বাউন’ বা কলেরা রোগে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে।
✍️২২) এই উম্মতকে লাইলাতুল ক্বদর দান করা হয়েছে, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
✍️২৩) এই উম্মতকে নেয়ামত হিসেবে সালাতুল এশা দান করা হয়েছে, যা ইতিপূর্বে কোন নবীর উম্মতকে দেয়া হয় নি।
✍️২৪) এই উম্মতের প্রতিটি জান্নাতী ব্যক্তির পরিবর্তে একজন করে কাফেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে।
✍️২৫) এই উম্মতের ৭০ হাজার মুমিন বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর প্রত্যেক হাজারের সাথে থাকবে আরো ৭০ হাজার মুমিন।
by রাসিকুল ইসলাম


Speaker: Abdullah Al Kafi
4 ফেব্রুয়ারি, 2023 করেছেন RASIKULINDIA
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রোগীকে এবং কারো মৃত্যুজনিত শোকাহত ব্যক্তিকে তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়ানোর আদেশ করতেন। তিনি বলতেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, ‘তালবীনা’ রোগীর কলিজা মযবূত করে এবং নানাবিধ দুশ্চিন্তা দূর করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭৪)
15 সেপ্টেম্বর, 2022 করেছেন RASIKULINDIA
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...