পঠিত: 134 বার
ব্রয়লার মুরগি মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আপনি যদি পোলট্রি ফার্মের মুরগিগুলোর ভীতিকর বিষয়গুলো জানতে পারেন, তাহলে পরের বার মাংস খাওয়ার আগে একটু চিন্তা করবেন৷ আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এসব মাংস ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে, কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া বিষয়ে একটা প্রতিবেদন। তাই চলুন আজকে দেখে নেওয়া যাক, এ ধরনের মাংস কী কী ক্ষতি করে-
১) মাংস খাওয়ার জন্যই এই ধরনের মুরগি বড় করা হয়। এরা ডিম পাড়ে না। ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই এরা বেড়ে ওঠে এবং বিক্রি করে দেওয়া হয় পোলট্রি-বাজারে।
২) ব্রয়লার মুরগিকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়, যা মানুষের ব্রেনের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এর ফলে নিউরোলজিক্যাল সমস্যাও হতে পারে।
৩) ব্রয়লার মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব থাকার ফলে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক-রেজিসট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কমে যায়।
৪) ব্রয়লার মুরগিকে অল্প সময়ে মোটাসোটা করার জন্য সিনথেটিক হরমোন দেওয়া হয়, যা মানুষের প্রজনন ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটায়।
৫) ব্রয়লার চিকেন রান্না করার সময়ে তাপমাত্রা খুবই বেশি রাখতে হয়, যা কারসিনোজেনিক নামে এক পদার্থ তৈরি করে। এই পদার্থ মানব শরীরে ক্যানসারের জন্ম দিতে পারে।
৬) ব্রয়লার মুরগিরা যাতে সুস্থ থাকে, তার জন্য তাদের শরীরে আর্সেনিক প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু, এই রাসায়নিক পদার্থ মানব শরীরের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। ডায়াবেটিস, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ও ক্যানসার হতে পারে এর ফলে। ৭) ব্রয়লার চিকেনে ফাইবার খুবই কম থাকে, কিন্তু ক্যালোরি থাকে প্রচুর পরিমাণে। যে কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৮) অ্যান্টিবায়োটিকঃ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সাধারণত মানব শরীরে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেসব অ্যান্টিবায়োটিক মুরগির শরীরে দেওয়া হয়ে থাকে। এসব মুরগির মাংস খাওয়া মানব শরীরে বাজে প্রভাব ফেলে। তাই মুরগি কেনার আগে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করে কিনুন। জানুন, এসব দেওয়া হচ্ছে কি না।
৯) বৃদ্ধির জন্য হরমোনঃ আগেকার মুরগিগুলোর থেকে এখন অনেক চর্বিযুক্ত বড় মুরগি দেখতে পাওয়া যায়। এর কারণ হলো, মুরগিকে বড় করতে বেশির ভাগ সময় হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয়। মুরগির মাংসের মধ্যে থাকা এসব হরমোন মানব শরীরের ক্ষতি করে।
১০) ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিতঃ কেবল বিভিন্ন ওষুধ বা হরমোন ব্যবহার করাই নয়, গবেষণায় বলা হয়- ৯৭ ভাগ মুরগির বুকের মাংসে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমিত হয়ে থাকে। বেশির ভাগ মুরগিতে এই ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। তাই মুরগির মাংস কাটাকাটি বা রান্নার পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মুরগির মাংস ভালোভাবে রান্না করুন। কেনার সময় প্লাস্টিকের ব্যাগে বহন করুন। মুরগির মাংস কাটার পর, রান্নার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
১১) বিষাক্ত আর্সেনিকঃ মুরগির মাংসের মধ্যে বিষাক্ত আসের্নিক পাওয়া যায়। এটি মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। হরমোন ও অন্যান্য ওষুধ ব্যবহারের কারণে মুরগির মাংসে এসব আর্সেনিক পাওয়া যায়।
আপনাকে অবশ্যই মন্তব্য করতে লগিন করতে হবে...
মন্তব্যসমূহ: