রিযিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ এই ২০টি গুনাহ!
১. সুদ :
যে ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আল্লাহ নিজেই যু/দ্ধ ঘোষণা করেছেন,
সেখানে কখনো বারকাহ আসতে পারে না ৷
রেফারেন্স: সূরা আল-বাকারা ২৭৯ - "আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলের পক্ষ থেকে যু/দ্ধের ঘোষণা। ”
২. অকৃতজ্ঞতা:
যে রিযিককে তুমি তুচ্ছ করো, সেটাই ধীরে ধীরে
তোমার হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
রেফারেন্স: সূরা ইবরাহীম ৭ - "কৃতজ্ঞ হলে বাড়িয়ে দেব,
অকৃতজ্ঞ হলে শা/স্তি কঠিন।”
৩. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা:
রিযিকের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক সরাসরি যুক্ত। সম্পর্ক
কে/টে দিলে রিযিকের দরজা বন্ধ হয়।
হাদিস: "যে রিযিক বাড়াতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার
সম্পর্ক বজায় রাখে।”- বুখারি ২৯৮৬ ।
৪. অসততা:
ব্যবসায় মিথ্যা বললে সাময়িক লাভ হতে পারে,
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে রিযিক নষ্ট হয়।
৫. প্রতারণা:
কারও হক মেরে খেলে প্রতিটি হা/রাম টাকা জীবনে অভাবডেকে আনে।
হাদিস: "যে প্রতারণা করে, সে আমার উম্মতের মধ্যে নয়।
মুসলিম ১০২।
৬. সালাত অবহেলা:
আজান-সালাত গুরুত্বহীন মনে করলে রিযিকের
বারকাহ কমে যায় ৷
হাদিস: "রিযিক সালাতে আছে।”
সহিহ অর্থে বহু বর্ণনায় প্রমাণিত।
৭. গীবত :
অন্যের পিঠ পেছনে খারাপ বলা তোমার নিজ
জীবনের বারকাহ খেয়ে ফেলে।
সূরা হুজুরাত ১২।
৮. অহংকার:
রিযিক উপহার, প্রমাণ নয় যে তুমি শ্রেষ্ঠ।
অহংকার আসমানের দরজা বন্ধ করে দেয়৷
হাদিস: "যার অন্তরে অহংকারের অণু পরিমাণ থাকে,
সে জান্নাতে যাবে না।"– মুসলিম ৯১।
৯. যাকাত আটকে রাখা:
যাকাত না দিলে সম্পদ অপবিত্র হয়ে যায়
এবং ধ্বং/স হতে থাকে।
সূরা তাওবা ৩৪-৩৫।
১০. কর্মচারীদের ওপর জুলুম:
যাদের তোমার ওপর কিছুটা অধিকার আছে, তাদের
হক না দিলে রিযিক শুকিয়ে যায়।
হাদিস: "মজদুরের মজুরি ঘাম শুকানোর আগেই পরিশোধ
করো।" ইবন মাজাহ ২৪৪৩।
১১. বেচাকেনায় প্রতারণা বা জিনিসের দোষ লুকানো: এতেসম্পদের বারকাহ সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়।
১২. লোভ:
যে শুধু আরও আরও চায় কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ বলে
না-সে শেষ পর্যন্ত কম পায় ৷
হাদিস: "মানুষের মন যদি দুই পাহাড় ভরা সম্পদ পায়,
তবুও সে তৃতীয়টি চাইবে।” – বুখারি ৬৪৩৯।
১৩. বাবা-মাকে অবহেলা:
তোমার রিযিক তাদের দোয়া বা অভিশাপের সাথে জড়িত।
হাদিস: "রিযিক ও আয়ু বাড়ে বাবা-মাকে সন্তুষ্ট রাখলে।"
- মুসলিম (হাসান সনদে বহু রেওয়ায়েতে প্রমাণিত)।
১৪. জুলুম করে সম্পদ অর্জন:
জুলুমের সম্পদে কোনো বারকাহ নেই,
বরং ধ্বং/স ডেকে আনে।
১৫. সদকা অবহেলা:
সদকা কখনো সম্পদ কমায় না, বরং বাড়ায়।
হাদিস: "সদকা সম্পদ কমায় না।
-মুসলিম ২৫৮৮।
১৬. হিংসা:
অন্যের রিযিক দেখে মন খারাপ করা নিজের
রিযিকের দরজা বন্ধ করে দেয়।
১৭. নারীদের ও বাচ্চাদের প্রতি জুলুম:
যাদের যত্নের অধিকার সবচেয়ে বেশি, তাদের প্রতি অন্যায়
করলে রিযিক উঠে যায়।
১৮. মিথ্যা কসম খাওয়া:
টাকা বা ব্যবসার জন্য মিথ্যা শপথ
বারকাহ পু/ড়ি/য়ে ফেলে।
বুখারি ২০৮৭।
১৯. অলসতা:
রিযিক চেষ্টা করা মানুষের কাছে আসে।
যারা চেষ্টা করে না, ভাগ্যও দরজা খোলে না।
২০. তাকদির নিয়ে অসন্তুষ্টি :
আল্লাহর সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ করা ভবিষ্যতের রিযিকেরদরজা বন্ধ করে দেয়।
হাদিস: "আল্লাহ্ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকলে সে হৃদয়কে পরিপূর্ণকরেন।”
তিরমিজি ২৫১০।