"ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল,
গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল।"
♦️ উক্তিটির উৎস ও কবি -
অনেকেই মনে করেন এই পঙ্ক্তিদ্বয় মাইকেল মধুসূদন দত্তের, আবার অনেকেই মনে করেন এটা প্রখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। এটি এনাদের কারও কবিতারই পঙ্ক্তি নয়, বরং এটি প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় (১৮৭৩–১৯৩২) রচিত একটি শিক্ষামূলক ও নৈতিক কবিতা “শিক্ষা” (বা “অভ্যাস”) কবিতা থেকে নেওয়া দু'টি চরণ।
♦️ কবিতার নামঃ- “শিক্ষা”, (কখনও এটি পাঠ্যপুস্তকে “অভ্যাস” নামেও প্রকাশিত হয়েছে।)
♦️ কিন্তু এআই এই প্রশ্নের উত্তরে সম্পূর্ণই ভিন্ন কথা বলছে। এআই এর উত্তরটি গুরুত্বপূর্ণ ও জানার একটি বিষয় মনে হওয়ায় এআই প্রদত্ত উত্তরটিও নিচে দেয়া হলো -
♦️ উক্তিটি কোথা থেকে এসেছে?
“ছোট ছোট বালুকণা
বিন্দু বিন্দু জল,
গড়ে তোলে মহাদেশ
সাগর অতল”
এই চরণের মূল উৎস বাংলা নয়।
এটি ইংরেজি কবিতা Little Things থেকে নেওয়া,
যার রচয়িতা Julia A. Fletcher Carney (জুলিয়া এ. ফ্লেচার কার্নি), প্রকাশ: ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দ।
♦️ তাহলে বাংলায় যেটা আমরা পড়ি সেটা কার?
বাংলা সংস্করণটি একটি স্বতন্ত্র অনুবাদ/রূপান্তর,
যা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তকে বহু বছর ধরে ছাপা হয়েছে। এটি কোনো নির্দিষ্ট বাংলা কবির রচনাকর্ম নয়। বাংলা সাহিত্যে এটিকে সাধারণভাবে “অনুবাদ কবিতা (অজ্ঞাত অনুবাদক)” হিসেবে গণ্য করা হয়।।কখনও কখনও বইয়ে “ছোট ছোট বালুকণা” নামেই শিরোনাম দেওয়া হয়।
♦️ অর্থাৎ—
মূল কবি (ইংরেজি) - Julia A. Fletcher Carney
বাংলা সংস্করণ: অজ্ঞাত / অজানা অনুবাদক
♦️ কবিতার নাম কী?।
★ ইংরেজি নাম: Little Things
★ বাংলায় প্রচলিত নাম: ছোট ছোট বালুকণা
♦️ কবিতাটি বাংলা কবিতা ছন্দের কোন নিয়মে লেখা?
★ ছন্দ ও রচনাশৈলীঃ-
এই কবিতাটি রচিত হয়েছে “অক্ষরবৃত্ত ছন্দের" নিয়মে-
যেখানে প্রতি চরণে নির্দিষ্ট সংখ্যক মাত্রা (সিলেবল) বজায় রাখা হয়। প্রতিটি চরণে প্রায় ১৪ মাত্রা (৮+৬ মাত্রার) গঠন আছে। যেমনঃ-
ছোট (২) ছোট (২) বালু (২) কণা (২) = ৮ মাত্রা
বিন্দু (২) বিন্দু (২) জল (২) = ৬ মাত্রা এই মোট ≈ ১৪ মাত্রা।
♦️ অর্থ ও ভাবঃ-
এই কবিতায় কবি বোঝাতে চেয়েছেন -
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, ক্ষুদ্র কাজের পুনরাবৃত্তি মিলেই গড়ে তোলে মহৎ সাফল্য। যেমন বালুকণা মিলেই ভূমি, আর বিন্দু বিন্দু জল মিলেই হয় অতল সাগর।