মহাকাশে কোনো বায়ু, অক্সিজেন, বায়ুচাপ বা আর্দ্রতা। নেই, তাই সেখানে একটি মানবদেহের লাশের অবস্থা পৃথিবীর তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করছি -
১. অক্সিজেনের অভাব ও শূন্য বায়ুচাপ
মহাকাশে কোনো অক্সিজেন নেই, তাই জীবিত কেউ সেখানে গেলে কয়েক সেকেন্ডেই চেতনা হারাবে এবং প্রায় এক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু ঘটবে।
মৃতদেহের ক্ষেত্রে, শূন্য বায়ুচাপের কারণে দেহের ভেতরের গ্যাস ও তরল দ্রুত বিস্তার (expand) পেতে শুরু করবে। এতে শরীর ফুলে উঠবে, কিন্তু সিনেমার মতো বিস্ফোরণ ঘটবে না।
২. তাপমাত্রার প্রভাব
♦️ মহাকাশে সূর্যালোক থাকলে তাপমাত্রা 120°C পর্যন্ত উঠতে পারে, আর
♦️ ছায়ায় -100°C থেকে -270°C পর্যন্ত নামতে পারে।
যদি লাশটি সূর্যের আলোতে থাকে, কিছু অংশ ঝলসে যাবে ও শুকিয়ে যাবে। আর যদি ছায়ায় বা মহাকাশে ভাসমান থাকে, দেহটি বরফে জমে যাবে — যেন একদম ফ্রিজে রাখা মমির মতো।
৩. পচন (Decomposition)
পৃথিবীতে লাশ পচে যায় কারণ ব্যাকটেরিয়া ও অক্সিজেন থাকে।।কিন্তু মহাকাশে কোনো অক্সিজেন বা জীবাণু নেই, তাই পচন প্রক্রিয়া একেবারে থেমে যাবে। ফলে লাশটি না পচে, না নষ্ট হয়ে, বরং মমি বা বরফে জমাট অবস্থা ধরে রাখবে হাজার হাজার বছর পর্যন্ত।
৪. রেডিয়েশন (Cosmic Radiation)
মহাকাশে cosmic rays ও সূর্যের বিকিরণ (radiation) রয়েছে।।দীর্ঘ সময় ধরে এ রেডিয়েশন দেহের চামড়া ও কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ফলে রঙ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে, একধরনের মমির মতো শুকনো দেহে রূপ নেবে।
♦️সংক্ষেপেঃ-
★ মহাকাশে একটি লাশের অবস্থা হবে—
★ অক্সিজেনের অভাবে ফুলে উঠবে,
★ তারপর বরফে জমে যাবে,
★কোনো জীবাণু না থাকায় পচবে না,
★ শেষে হাজার বছরেও প্রায় অপরিবর্তিত মমির মতো টিকে থাকবে।