28 বার দেখা হয়েছে
"ঝাড়ফুঁক" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

বদ নজর (العين أو الحسد) অর্থাৎ অন্যের ঈর্ষা বা প্রশংসার কারণে অদৃশ্য ক্ষতি হওয়া - ইসলামে বাস্তব বিষয় হিসেবে স্বীকৃত।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ- "العين حق" - “বদ নজর সত্য।” — (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২১৮৮)
এখন দেখা যাক বদ নজর লাগলে আপনি কী করবেন ১. বদ নজর লেগেছে বোঝার লক্ষণ
বদ নজর লাগলে সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়ঃ-
★ হঠাৎ শরীর দুর্বল লাগা বা মাথা ভার হওয়া।
★ অকারণে মন খারাপ, ঘুমে অস্বস্তি।
★ (শিশুদের ক্ষেত্রে) হঠাৎ শিশু কান্না শুরু করা, ক্ষুধা বন্ধ।
★ ব্যবসা বা কাজে হঠাৎ সমস্যা।
★ চিকিৎসায় উপশম না হওয়া।
এসব থাকলে বদ নজরের আশঙ্কা থাকতে পারে।
২. বদ নজর লাগলে করণীয় (ইসলামী চিকিৎসা)
(ক) রুকাইয়ায়ে শরঈয়া (কুরআনের আয়াত দ্বারা ঝাড়ফুঁক)
ওযু করে পরিষ্কার স্থানে বসে নিচের আয়াতগুলো পড়ুন এবং নিজের উপর ফুঁ দিন (বিশেষ করে মাথা ও বুকের দিকে) -
পড়ার জন্য আয়াতসমূহঃ-
১. সূরা ফাতিহা
২. সূরা আল-বাকারা: আয়াতুল কুরসি (২:২৫৫)
৩. সূরা আল-বাকারা: শেষ দুই আয়াত (২:২৮৫–২৮৬)
৪. সূরা আল-ইখলাস
৫. সূরা আল-ফালাক
৬. সূরা আন-নাস
প্রতিটি ৩ বা ৭ বার করে পড়ুন। আয়াত ও সূরাগুলো পড়ার পর হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরের উপর মুছে নিন।
(খ) পানি দ্বারা চিকিৎসা
১. উপরের আয়াতগুলো পড়ার সময় এক বোতল পরিষ্কার পানির উপর ফুঁ দিন।
২. সেই পানি দিয়ে গোসল করুন বা পান করুন।
৩. এই আমল ৩–৭ দিন নিয়মিত করুন।
(গ) দোআ ও যিকির
রাসূলুল্লাহ ﷺ বদ নজর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই দোআ পাঠ করতেনঃ-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
“আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার দ্বারা আশ্রয় চাই প্রত্যেক শয়তান, বিষধর প্রাণী এবং বদ নজর থেকে।”
— (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৩৩৭১)
আরও একটি হাদীস অনুযায়ী, নবী ﷺ বদ নজরে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য পড়তেনঃ-
اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنْهَا حَرَّهَا وَبَرْدَهَا وَوَصَبَهَا
“হে আল্লাহ! এর তাপ, শীতলতা ও কষ্ট দূর করে দিন।”
(ঘ) সম্ভাব্য দাতার ওযু পানি
যদি আপনি জানেন কে বদ নজর দিয়েছে, তাহলে সে ব্যক্তিকে ওযু করতে বলুন, তারপর তার ওযুর পানি আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা ও শরীরে ঢেলে দিন।
♦️ এটি সহীহ হাদীসে প্রমাণিত (সহীহ মুসলিম, ২১৮৮)।
৩. বদ নজর থেকে বাঁচার প্রতিরোধমূলক আমল
নিয়মিত এগুলো করলে বদ নজর থেকে সুরক্ষা পাবেন ইনশাআল্লাহঃ-
১. প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে ৩ বার করে সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়া।
২. “بِسْمِ اللهِ” বলে কাজ শুরু করা।
৩. অন্যকে প্রশংসা করলে “মাশা’আল্লাহ, তাবারাকাল্লাহ” বলা।
৪. কারো প্রশংসা শুনলে “اللهم بارك له” (আল্লাহ তার মধ্যে বরকত দাও) বলা।
৫.নামাজ ও যিকিরে নিয়মিত থাকা।
যা করা যাবে না -
★ তাবিজ-কবচ, ফুঁকফাঁক, মাজারে যাওয়া।
★ নাম না জানা কাগজ, কালো পানি, ধোঁয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা। কেননা, এসব শিরকের কাছাকাছি কাজ, ইসলামে নিষিদ্ধ। 

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
16 অক্টোবর, 2023 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Abdul_Awal
1 টি উত্তর
21 ডিসেম্বর, 2022 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন নির্ভৃতচারী
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
12 নভেম্বর, 2022 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
16 এপ্রিল, 2022 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
29 জানুয়ারি, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর

36,737 টি প্রশ্ন

36,016 টি উত্তর

1,779 টি মন্তব্য

3,870 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
19 জন অনলাইনে আছেন
1 জন সদস্য, 18 জন অতিথি
এখন অনলাইনে আছেন
আজকে ভিজিট : 11906
গতকাল ভিজিট : 16133
সর্বমোট ভিজিট : 56808014
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...