নিচে সমাজসেবা অধিদফতর (DSS), বাংলাদেশ-এর “বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা” সম্পর্কিত তথ্য সংক্ষেপে দেওয়া হলো -
১) বর্তমানে ভাতার পরিমাণ
এই কর্মসূচির নাম হলো “বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা”। সাম্প্রতিক বাজেট প্রস্তাবে মাসিক ভাতার হার ৫৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। কেননা অতীতে এটা ৫৫০ টাকা ছিল।
তাই বর্তমানে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য হলো - মাসিক ৬৫০ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাবনা রয়েছে এভাবে বললাম কারণ - অফিসিয়ালি সব উপজেলায় ইতিমধ্যে এই নতুন হারে কার্যকর হয়েছে কি না সে তথ্য নিশ্চিত না।
২) অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা/কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী পাবেন কি না?
এই ভাতা মূলত “বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা মৃত / তালাকপ্রাপ্ত / নির্দেশিত মহিলা”দের জন্য।
তবে আইন বা নির্দেশনায় একটি শর্ত রয়েছে - উপকারভোগীর বার্ষিক আয়, সম্পদ, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ- “বছরে আয় ১২,০০০ টাকার কম” এর মত শর্ত থাকতে পারে।
♦️ যদি ঐ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী হয় তবে তার স্বামী যদি মৃত হয়ে থাকেন, এবং তিনি পূরণ করেন সংশ্লিষ্ট আয়-সম্পদ ও অন্যান্য নির্বাচনী শর্ত, তাহলে পাওয়া সম্ভব হতে পারে। তবে যদি শর্ত মেট না হয় (যেমন সরকারি পেনশন বা অন্য আয়-সম্পদ থাকে) তাহলে ভাতা গ্রহণযোগ্যতা কম থাকতে পারে।
অর্থাৎ "অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী ভাতা পাবে কি পাবে না" তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, কেননা এতে ব্যক্তিগত পরিস্থিতি (চাকারিত্ব, পেনশন, অন্যান্য সহায়ক আয়, এলাকার কমিটি সিদ্ধান্ত) বিবেচনায় আসবে। সুতরং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা অফিস বা ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে তথ্য যাচাই করে নিতে হবে।
(আপনার ক্ষেত্রে উপ-জেলা বা ইউনিয়ন-ভিত্তিক শর্ত পরিবর্তিত হতে পারে।)
৩) ভাতা পেতে আবেদন কিভাবে করবেন?
নিচে সাধারণ আবেদন প্রক্রিয়া দেওয়া হলো -
♦️ আবেদন প্রক্রিয়া-
১. অনলাইন আবেদন -
★ DSS-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদন করা যায়,
আবেদন লিংকঃ-
https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication
★ আবেদন করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), ছবি, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক / মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ইত্যাদি তথ্য লাগতে পারে।
২. হার্ড-কপি/স্থানীয় আবেদন -
★ আপনার ইউনিয়ন পরিষদ, ওয়ার্ড বা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে “বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা” আবেদন ফরম পাওয়া যায়।
★ আবেদন ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন/উপজেলা কমিটিতে জমা দিতে হয়।
★ আবেদন-দাতা-ভূমিকার বিষয়ে (যেমন স্থায়ী বাসিন্দা, পরিচয়পত্র, দরিদ্র/দুস্থ অবস্থান) শর্ত থাকতে পারে।
৩. নির্বাচন ও যাচাই -
★ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি, উপজেলা কমিটি একসাথে তালিকা তৈরি করে সিদ্ধান্ত নেয়।
৪. ভাতা বণ্টন -
★ অনুমোদনের পর ভাতা প্রদান করা হয় ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
♦️ দ্রষ্টব্য -
★ আবেদনের সময় এনআইডি থাকতে হবে।
★ সুবিধাভোগীর তথ্যসত্যতা ও নিয়মমাফিকতা কমিটিতে যাচাই হয়।
★ প্রস্তাবিত পরবর্তী অর্থবছরে ভাতার হার আরও বাড়বে বলে আইনগত প্রস্তাব রয়েছে।