কুতুবুদ্দীন আইবেক ছিলেন দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সুলতান। তিনি ছিলেন মধ্যযুগীয় ভারতের একজন তুর্কি শাসক এবং মামলুক (দাস) বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাত্র চার বছর সুলতান হিসেবে শাসন করেন। তার উদারতা ও দানশীলতার জন্য তিনি 'লাখবখশ' (লক্ষ লক্ষ দানকারী) নামে পরিচিত ছিলেন।
শাসনকর্তা হিসেবে কুতুবুদ্দীন আইবেক
কুতুবুদ্দীন আইবেক মূলত মুহাম্মদ ঘোরী (Mu'izz ad-Din Muhammad Ghori)-এর একজন ক্রীতদাস (গোলাম) ও সেনাপতি ছিলেন।
* প্রারম্ভিক দায়িত্ব: ১১৯২ খ্রিষ্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে বিজয়ের পর মুহাম্মদ ঘোরী তাকে ভারতীয় অঞ্চলগুলির দায়িত্বে নিযুক্ত করেন।
* ভাইসরয় হিসেবে: ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে খোখার বিদ্রোহ দমনের পর মুহাম্মদ ঘোরী তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় অঞ্চলগুলির ভাইসরয় হিসেবে নিযুক্ত করেন। এর মাধ্যমে তিনি মালিক পদে উন্নীত হন এবং ক্রমান্বয়ে সুলতানের ভারতীয় অঞ্চলগুলির উত্তরাধিকারীতে পরিণত হন।
* দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা: ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ ঘোরীর মৃত্যুর পর তিনি নিজেকে স্বাধীন সুলতান হিসেবে ঘোষণা করেন এবং দিল্লি সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেন। তার রাজধানী ছিল লাহোর।
* স্থাপত্য: তিনি দিল্লিতে কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ (Quwwat-ul-Islam Mosque) এবং কুতুব মিনার-এর নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন।
তিনি ১২১০ খ্রিষ্টাব্দে পোলো খেলার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।