সকল ভালো কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা হয় এবং ডান হাত দিয়ে করা হয় এবং মন্দ বা নিকৃষ্টতর কাজ তথা ইসলাম ধর্মানুযায়ী নাপাক কাজ করা হয় বাম হাত দিয়ে এবং নাপাক জায়গায় যাওয়া হয় বাম পা দিয়ে। যেমন মসজিদে / ঘরে প্রবেশের সময় ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা। আর মলমূত্রত্যাগের স্থানে বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং বাম হাতে মলমূত্র পরিষ্কার করা ইত্যাদি।
সুতরাং আমরা জানলাম ভালো কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা এবং ডান হাত দিয়ে করা সুন্নত। এবং নিকৃষ্ট বা নিচতর কাজ বাম দিক থেকে শুরু করা এবং বাম হাত দিয়ে করা - এটাও সুন্নত।
ঘড়ি হাতে পরা হয় মূলত সময় দেখার জন্য এবং সময় দেখে সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য। আর সময় দেখে সময়ের কাজ সময়ে করা - এটা মূলত ইসলামেরই শিক্ষা। যেমন সূর্যের অবস্থান নির্ণয় করে সময় জেনে নিয়ে সময়মত নামাজ আদায় করা, রমজান মাসে চাঁদ উঠার সময় থেকে শুরু করে মাসের শেষের চাঁদ ডোবা পর্যন্ত রোজা রাখা, হজ্জ্ব, যাকাত দেয়া, কুরবানি করা - এগুলো মূলত সময়ের সাথেই সম্পৃক্ত। আগেকার দিনে সময় নির্ধারণ করা হতো সূর্য, চন্দ্র ও তারকার অবস্থান দেখে দেখে। এখন ঘড়ি দেখে সহজেই আমরা সময়ের সঠিক হিসাব রাখতে পারি। অতএব সঠিক সময় নির্দেশক এই ঘড়ি যদিও বাম হাতে পরার প্রচলন, কিন্তু আমি মনে করি আমরা মুসলিমরা ঘড়ি বাম হাতে নয়, ডান হাতেই পড়বো। কেননা, আমরা মুসলমান নামাজের সময় যখন বাম হাতের ওপর ডান রাখবো তখন কিন্তু বাম হাতে ঘড়ি পড়ার কারণে বাম হাতটা ডান হাত দিয়ে ভালোভাবে ধরতে পারি না। অথচ ডান হাত দিয়ে বাম হাতটা ভালোভাবে ধরে রাখা আবশ্যক।
সুতরাং প্রিয় সদস্য ভাইটির প্রতি সম্পূর্ণ সম্মানপ্রদর্শনপূর্বক বলছি - আমার মনে মনে হয় - "ঘড়ি কেনো বাম হাতে পরা হয়" এটার উত্তর সর্বোচ্চ এটাই যে, এটা পশ্চিমা কালচার বা স্টাইল। আর এটা না করাই উত্তম। ঘড়ি বরং ডান হাতে পড়াই উত্তম।