মেসোপটেমীয় অঞ্চলকে সভ্যতার লীলাভূমি বলা হয় কারণ এটি ছিল মানব সভ্যতার জন্মস্থানগুলোর একটি। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মাঝের এই উর্বর ভূমি প্রাচীন মানুষের বসবাস ও কৃষিকাজের জন্য আদর্শ ছিল। এখানে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, কৃষি, পশুপালন ও সেচব্যবস্থা গড়ে তোলে।
মেসোপটেমিয়ায় প্রথম শহর, লিখনপদ্ধতি, আইনকানুন ও সংগঠিত শাসনব্যবস্থার সূচনা হয়। সুমেরীয়, আक्कাদীয়, ব্যাবিলনীয় ও আসিরীয়দের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা এখানে বিকশিত হয়েছিল। তারা উন্নত স্থাপত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা ও সাহিত্য চর্চা করত।
এই অঞ্চলের উন্নত জীবনযাত্রা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও শাসনব্যবস্থা পরবর্তী সভ্যতাগুলোর ভিত্তি গড়ে দেয়। তাই একে মানব সভ্যতার লীলাভূমি বা সূতিকাগার বলা হয়, যেখানে সভ্যতার প্রথম আলো জ্বলে উঠেছিল।