প্রাচীন মিশরীয় সমাজে নারীদের অবস্থান তুলনামূলকভাবে উন্নত ছিল। তারা সম্পত্তির মালিক হতে পারত, ব্যবসা করতে পারত এবং উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ পেত। বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদে নারীদের নিজস্ব অধিকার ছিল, এমনকি স্বামীর সঙ্গে চুক্তি করেও বিয়ে হতো যাতে নারীর স্বার্থ রক্ষা হয়। আদালতে নারী নিজে মামলা করতে পারত এবং সাক্ষ্য দিতে পারত।
ধর্মীয় ক্ষেত্রে কিছু নারী মন্দিরে পুরোহিতী হিসেবে কাজ করত। রাজপরিবারের নারীরা অনেক প্রভাবশালী ছিল, যেমন রানী হাটশেপসুট ফারাও হিসেবে শাসন করেছিলেন। শিল্প ও চিত্রকলায় নারীদের সৌন্দর্য, গৃহস্থালি ও সামাজিক ভূমিকা গুরুত্ব সহকারে ফুটিয়ে তোলা হতো।
তবে সব নারীর অবস্থা সমান ছিল না। ধনী ও রাজপরিবারের নারীরা বেশি সুযোগ-সুবিধা পেত, আর সাধারণ পরিবারের নারীরা মূলত গৃহকর্ম, কৃষিকাজ ও সন্তান প্রতিপালনে যুক্ত থাকত। তারপরও সমসাময়িক অনেক সভ্যতার তুলনায় প্রাচীন মিশরে নারীরা বেশি স্বাধীনতা ও সামাজিক মর্যাদা উপভোগ করত।