পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে পার্থক্য শারীরিক, জৈবিক, হরমোনজনিত এবং কিছু মানসিক দিক থেকে প্রকাশ পায়। প্রথমত, জৈবিক পার্থক্য হলো—পুরুষের ক্রোমোজোম XY এবং মহিলার XX। এই পার্থক্য থেকেই বিভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়, যেমন পুরুষের পেশী সাধারণত বেশি শক্তিশালী ও ঘন, মহিলার দেহে তুলনামূলকভাবে চর্বি বেশি থাকে এবং তারা গর্ভধারণ করতে পারে।
হরমোনগত পার্থক্য হিসেবে, পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন বেশি থাকে, যা তাদের কণ্ঠকে ভারী করে এবং দেহের লোম বৃদ্ধি করে। মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের প্রভাব বেশি, যা মাসিক চক্র ও গর্ভাবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত।
মানসিক ও সামাজিক পার্থক্য অনেক সময় সমাজ ও সংস্কৃতিভেদে গঠিত হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষেরা প্রায়শই বিশ্লেষণধর্মী বা লজিকাল কাজে আগ্রহী হয়, আর মহিলারা তুলনামূলকভাবে আবেগপ্রবণ ও সামাজিক দিক থেকে সংবেদনশীল হয়—যদিও এটি সব সময় সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।