মিওসিস কোষ বিভাজন একটি বিশেষ ধরণের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া, যা জীবের জননকোষ (শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু) তৈরির জন্য অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়ায় একটি ডিপ্লয়েড (2n) কোষ থেকে চারটি হ্যাপ্লয়েড (n) কোষ তৈরি হয়। মিওসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব নিচে বর্ণনা করা হলো:
১. ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস: মিওসিস বিভাজনের মাধ্যমে জননকোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। ফলে, নিষিক্তকরণের সময় শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে জাইগোটে ক্রোমোজোম সংখ্যা আবার স্বাভাবিক (2n) অবস্থায় ফিরে আসে। এটি প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
২. বংশগতির প্রকরণ সৃষ্টি: মিওসিস বিভাজনের সময় ক্রসিং ওভার এবং স্বাধীনভাবে ক্রোমোজোম বিন্যাসের কারণে জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। এই বৈচিত্র্য প্রজাতির অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. জননকোষ গঠন: মিওসিস কোষ বিভাজন জননকোষ (শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু) গঠনের জন্য অপরিহার্য। জননকোষ ছাড়া জীবের প্রজনন সম্ভব নয়।
৪. বংশগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা: মিওসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীবের বংশগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়।
৫. জীবের বিবর্তনে ভূমিকা: মিওসিস কোষ বিভাজনের ফলে জিনের সংমিশ্রণ ও পুনর্বিন্যাস ঘটে, যা জীবের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৬. ত্রুটি সংশোধন: মিওসিস বিভাজনের সময় কোষের ত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব। ফলে, ত্রুটিপূর্ণ জননকোষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।