১. মাটির pH মান ৫.৫-৬.৫ হলে ভালো হয়।
শীত প্রধান সবজি, তাই ঠান্ডা আবহাওয়া (১৫-২০°C) গাজর চাষের জন্য ভালো।
২. জমি প্রস্তুতি
প্রথমে জমি গভীরভাবে চাষ করে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
৪-৫ বার চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে।
জৈব সার কম্পোস্ট বা গোবর সার প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
উঁচু বেড তৈরি করলে পানি নিষ্কাশন ভালো হয়।
৩. বীজ রোপণ ও জাত নির্বাচন
সেরা জাতসমূহ:
বারি গাজর-১,
বারি গাজর-২,
ন্যাপলি,
কুরোদা,
ড্যানভার্স।
বপনের সময়:
অক্টোবর-ডিসেম্বর মাস গাজর বপনের জন্য উপযুক্ত।
বীজ বপনের নিয়ম:
সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০-২৫ সেমি।
গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৫-৭ সেমি।
বীজ ১-২ সেমি গভীরে বপন করতে হবে।
৪. সার প্রয়োগ
সার পরিমাণ (প্রতি শতক)
গোবর সার - ৪০-৫০ কেজি
ইউরিয়া- ৫০০-৬০০ গ্রাম
টিএসপি- ৩০০-৪০০ গ্রাম
এমওপি -২০০-২৫০ গ্রাম
চাষের সময় জৈব সার, টিএসপি ও এমওপি প্রয়োগ করতে হবে।
ইউরিয়া ২-৩ কিস্তিতে দিতে হবে।
৫. সেচ ও আগাছা দমন
মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে হালকা সেচ দিতে হবে।
৭-১০ দিন পরপর আগাছা পরিষ্কার করা দরকার।
অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
৬. রোগ ও পোকা দমন
রোগ:
পাতা ধস রোগ: রিডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ স্প্রে করতে হবে।
গাজর পচা রোগ: ব্যাভিস্টিন স্প্রে করা ভালো।
পোকা:
*গাজর মাছি: সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যায়।
*থ্রিপস: ইমিডাক্লোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৭. ফসল সংগ্রহ
৮০-১০০ দিন পর গাজর সংগ্রহ উপযোগী হয়।
যখন গাজরের শিকড় পরিপূর্ণ ও গাঢ় কমলা হয়, তখন তুলতে হবে।