১. জলবায়ু ও মাটির উপযোগিতা
✔ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য উপযুক্ত।
✔ বেলে দোআঁশ ও এঁটেল মাটি মাল্টার জন্য ভালো।
✔ মাটির pH ৫.৫-৬.৫ হলে ভালো ফলন হয়।
✔ ভালো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে, কারণ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।
২. মাল্টার জাত নির্বাচন
বাংলাদেশে কয়েকটি উন্নত জাত চাষ করা হয়, যেমন:
* বারি মাল্টা-১ ও বারি মাল্টা-২
* ক্যাপিটল, ভ্যালেন্সিয়া, ওয়াশিংটন নাভেল
৩. চারা রোপণ পদ্ধতি
✔ বর্ষার শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে চারা লাগানো ভালো।
✔ চারা রোপণের জন্য ৩ × ৩ মিটার দূরত্বে গর্ত করতে হবে।
✔ গর্তের আকার ৬০×৬০×৬০ সেমি হতে হবে।
✔ গর্তে কম্পোস্ট সার, টিএসপি, পটাশ, ডলোমাইট চুন মিশিয়ে ১০-১৫ দিন রেখে তারপর চারা লাগাতে হবে।
৪. সার ব্যবস্থাপনা
প্রতি গাছে বছরে সারের পরিমাণ,
সার পরিমাণ প্রতি গাছে
গোবর সার -১৫-২০ কেজি
ইউরিয়া -৩০০-৫০০ গ্রাম
টিএসপি- ২০০-৩০০ গ্রাম
এমওপি- ১৫০-৩০০ গ্রাম
জিপসাম- ১০০-১৫০ গ্রাম
জিংক সালফেট- ২৫ গ্রাম
* সার তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে – মার্চ, জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে।
৫. সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ
✔ শুষ্ক মৌসুমে ১৫ দিন পরপর সেচ দিতে হবে।
✔ বর্ষার সময় অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
✔ গাছের চারপাশে আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে।
বিশেষ করে পাহাড়ি ও সমতল উভয় এলাকাতেই মালটা ভালো উৎফুল্ল হয়।