ব্যাকরণে সমাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিচে সমাস ও এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
সমাস কাকে বলে?
দুই বা ততোধিক পদ এক পদে পরিণত হলে তাকে সমাস বলে। অর্থাৎ, একাধিক পদের এক পদে মিলিত হওয়ার নাম সমাস।
সমাসের প্রকারভেদ:
সমাস প্রধানত ৬ প্রকার। নিচে প্রকারভেদ গুলো আলোচনা করা হলো:
-
দ্বন্দ্ব সমাস:
-
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
-
উদাহরণ: মাতা ও পিতা = মাতাপিতা।
-
কর্মধারয় সমাস:
-
বিশেষণ ও বিশেষ্য পদ মিলে যে সমাস হয় এবং যাতে পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
-
উদাহরণ: নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।
-
তৎপুরুষ সমাস:
-
যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
-
উদাহরণ: বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন।
-
বহুব্রীহি সমাস:
-
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
-
উদাহরণ: দশ আনন যার = দশানন (রাবণ)।
-
দ্বিগু সমাস:
-
যে কর্মধারয় সমাসের প্রথম পদ সংখ্যাবাচক এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
-
উদাহরণ: তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল।
-
অব্যয়ীভাব সমাস:
-
যে সমাসে পূর্বপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় এবং যা অব্যয় পদ হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
-
উদাহরণ: কণ্ঠের সমীপে = উপকণ্ঠ।