কুরআনের আলোকে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব
উপক্রমনিকাঃ
বিশ্বজাহানের প্রতিপালক মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মানব জাতিকে তাদের পার্থিব জীবনে সঠিক পথনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে যুগে যুগে অসংখ্য নাবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। প্রেরিত পুরুষ নাবী-রাসূলদের নিকট আল্লাহ তাআ'লা হেদায়েতের যে বাণী পাঠিয়েছেন তাকে বলা হয় ওহী। যুগে যুগে প্রেরিত নাবী-রাসূলদের মধ্য থেকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নাবী এবং রাসূল হলেন বিশ্বনাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁর উপর অবতারিত কিতাব কুরআনূল কারীম গোটা মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যবান নি:সৃত বাণীকে বলা হয় সুন্নাহ বা হাদীস। ওহী বলতে কুরআন ও সুন্নাহ দু'টোকেই বুঝানো হয়ে থাকে। কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানব জাতির জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ, মুক্তি ও সফলতা। তাই কুরআন-সূন্নাহর জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, একমাত্র ওহীভিত্তিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই ইসলামী শরীয়ার হালাল-হারাম, করনীয় ও বর্জনীয় বিষয় জানা সম্ভব হতে পারে। কোন পথে চললে আমাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ ও সফলতা, আর কোন পথে রয়েছে ব্যর্থতা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে শাস্তি ও লাঞ্চনা, তা সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে। অতএব দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও মুক্তি পেতে হলে কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণের বিকল্প কোন পথ নেই। আর কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ কুরতে হলে উহার জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাই কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলাত সম্পর্কে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
কুরআনুল কারীমের আলোকে দ্বীনী ইলম শিক্ষার গুরুত্ব :
০১. প্রথম ওহী 'পড়ুন' :
قا ل الله سبحا نه وتعا لى
* اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ-( سورة زمر –أية 01)
পড়ো তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।
ব্যাখ্যা :
ইসলাম ধর্মের আগমনে পৃথিবীবাসী মানুষের জন্য জাগতিক ও পারলৌকিক সকল প্রকার শিক্ষার দ্বার উম্মুক্ত হয়েছে। ইসলামের তথা, আল কুরআনের সর্বপ্রথম নাযিলকৃত বাণীটিই হচ্ছে- اقرأ অর্থাৎ, পড়ুন। এখান থেকে অনুধাবন করা যায়, ইসলাম বিশ্বমানবতার জন্য জ্ঞানের দ্বার কিভাবে উম্মুক্ত করে দিয়েছে।