ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
74 বার দেখা হয়েছে
"ওয়েব ডেভেলপ" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ওয়েব সিকিউরিটি হলো সাইবার সিকিউরিটির একটি অংশ, যা ওয়েবসাইট, ক্লাউড, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদিকে সুরক্ষিত করে। ওয়েব সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ব্যক্তি ও ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষা করে।

ওয়েব সিকিউরিটির গুরুত্ব: 

ওয়েব সিকিউরিটি ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

এটি পরিচয় চুরি ও আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধ করে।

ওয়েব সিকিউরিটি ব্যবসার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।

এটি ডেটা লঙ্ঘন, ব্ল্যাকলিস্টিং, বিশ্বাসের ক্ষয় কমায়।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ওয়েব সিকিউরিটি কী?

ওয়েব সিকিউরিটি (Web Security) হলো ওয়েবসাইট, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং সার্ভারকে সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি এবং অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে সুরক্ষিত রাখার প্রক্রিয়া। এটি সাইবার নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা যা ব্যবহারকারীদের তথ্য ও সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

ওয়েব সিকিউরিটির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

  1. তথ্য সুরক্ষা: সংবেদনশীল ডেটা (যেমন পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড তথ্য) রক্ষা করা।
  2. অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করতে পারে।
  3. SSL/TLS এনক্রিপশন: ডেটা ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে সুরক্ষিত রাখা।
  4. ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল (WAF): সাইবার আক্রমণ, যেমন SQL ইনজেকশন বা XSS (Cross-Site Scripting), প্রতিহত করা।

ওয়েব সিকিউরিটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

১. তথ্য রক্ষা করা

  • ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সংবেদনশীল তথ্য (ব্যবহারকারীর তথ্য, আর্থিক ডেটা) চুরি বা অপব্যবহার ঠেকানো।

২. গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন

  • সুরক্ষিত ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের আস্থা বাড়ায়। যদি ওয়েবসাইটটি নিরাপদ না হয়, ব্যবহারকারী তা এড়িয়ে চলে।

৩. সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা

  • হ্যাকিং, ম্যালওয়্যার, ফিশিং এবং ডিডস (DDoS) আক্রমণের মতো সাইবার হুমকির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া।

৪. ব্যবসায়িক ক্ষতি প্রতিরোধ

  • ওয়েবসাইট হ্যাক হলে ব্যবসার আর্থিক ক্ষতি, সুনামের ক্ষতি এবং আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

৫. আইন মেনে চলা

  • অনেক দেশে ডেটা প্রাইভেসি আইন রয়েছে (যেমন GDPR), যা ওয়েব সিকিউরিটি বাধ্যতামূলক করে।

ওয়েব সিকিউরিটি বজায় রাখার পদ্ধতি

  1. SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করুন।
  2. ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করুন।
  3. ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল (WAF) ইনস্টল করুন।
  4. দুর্বল পাসওয়ার্ড পরিহার করুন এবং দুই ধাপ যাচাইকরণ (2FA) চালু করুন।
  5. সতর্কতার সাথে তৃতীয় পক্ষের স্ক্রিপ্ট বা প্লাগইন ব্যবহার করুন।
  6. নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট এবং পেনেট্রেশন টেস্ট করুন।

সুতরাং, ওয়েব সিকিউরিটি শুধুমাত্র সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ নয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি আস্থার সম্পর্ক তৈরি করার একটি মাধ্যম।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
3 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 3 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 13937
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51886287
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...