মুরগির ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি হলো:
১. ডিম সংগ্রহের পদ্ধতি:
-
প্রতিদিন নিয়মিত সংগ্রহ: মুরগির ডিম প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে সংগ্রহ করা উচিত। সাধারণত সকাল বা বিকালে ডিম সংগ্রহ করা হয়, তবে যদি মুরগির সংখ্যা বেশি হয়, তবে দিনভর কয়েকবার সংগ্রহ করা যেতে পারে।
-
পরিষ্কার হাত: ডিম সংগ্রহের আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে, যাতে কোনো ধরনের ময়লা বা জীবাণু ডিমে না লেগে থাকে।
-
নরম ও পরিষ্কার পাত্রে রাখা: ডিম সংগ্রহ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে ডিমে কোনোরূপ ফাটল না পড়ে। সাধারণত ডিম একটি নরম কাপড় বা তুলার পাত্রে রাখা উচিত।
-
তাড়াহুড়া না করা: মুরগি থেকে ডিম সংগ্রহ করার সময় তাড়াহুড়া না করে, মুরগি বা ডিমের ওপর চাপ না দিয়ে সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে।
২. ডিম সংরক্ষণের পদ্ধতি:
-
সঠিক তাপমাত্রা: ডিম সংরক্ষণ করার জন্য তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিসরে রাখা উচিত। বেশি তাপমাত্রায় ডিম দ্রুত সড়িয়ে যেতে পারে।
-
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ: ডিমের সঠিক আর্দ্রতা ৭০%-৮০% হওয়া উচিত, কারণ কম আর্দ্রতায় ডিমের শেলের পৃষ্ঠ শুকিয়ে যায় এবং বেশি আর্দ্রতায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়।
-
ফুটানোর আগে: ডিম দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণ করতে হলে, ডিমের মুখ (শেল) দিক নিচে রেখে রাখতে হবে, যাতে কুসুম ও সাদা অংশের মধ্যে সংযোগ থাকে এবং তা সতেজ থাকে।
-
ফ্রিজে সংরক্ষণ: যদি ডিম দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করতে হয়, তবে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে ডিম ফ্রিজে রাখার আগে পরিষ্কার করতে হবে, কারণ কোনো ধরনের ময়লা থাকলে ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে পারে।
-
পুনঃব্যবহারযোগ্য পাত্রে রাখুন: ডিম সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ধরনের ডিম বাক্স বা পাত্র ব্যবহার করতে হবে, যাতে ডিমগুলো সুরক্ষিত থাকে এবং একে অপরের সাথে আঘাত না পায়।
৩. ডিমের পরিস্কার করা:
-
ডিম সংগ্রহ করার পর তাদের যদি ময়লা থাকে, তবে সাবধানে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। তবে ডিম যদি খুব ময়লা হয়, তবে অতিরিক্ত পরিষ্কার না করাই ভালো, কারণ ডিমের বাইরের খোলসে একটি প্রাকৃতিক আবরণ থাকে যা ডিমের সতেজতা রক্ষা করে।
৪. ডিমের পরীক্ষা:
-
জল দিয়ে পরীক্ষা: যদি ডিম দীর্ঘসময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়, তবে জল দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। যদি ডিমটি পানির মধ্যে ডুবে থাকে এবং তলিয়ে যায়, তবে তা সঠিকভাবে সংরক্ষিত থাকে। যদি ডিমটি ভাসে, তাহলে তা ফেটে যেতে পারে বা খাওয়ার অনুপযুক্ত হতে পারে।
৫. ডিমের বয়স নির্ধারণ:
-
সাধারণত, ডিমের গুণগত মান ৭-১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে এই সময়ের পর ডিমে গুণগত অবনতি হতে পারে, তাই ডিমের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন।
এই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে মুরগির ডিম সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা যায়, যা তার সতেজতা ও গুণগত মান বজায় রাখে।