হাঁস-মুরগির জন্য আদর্শ আবাসস্থল তৈরি করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হয়। নিচে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. স্থান নির্বাচন:
-
উঁচু ও বন্যামুক্ত এলাকা: হাঁস-মুরগির আবাসস্থল এমন জায়গায় তৈরি করতে হবে, যেখানে বন্যা বা জলাবদ্ধতার কোনো সম্ভাবনা নেই।
-
দূষণমুক্ত পরিবেশ: আবাসস্থলটি যেন বাজার, মহাসড়ক বা ঘনবসতি এলাকা থেকে দূরে হয়, যাতে দূষণ কম থাকে।
-
ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা: খামারে সহজে আসা-যাওয়া এবং ডিম ও মাংস বাজারজাত করার জন্য ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
-
পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ: পরিষ্কার পানির সহজলভ্যতা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
-
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা: আবাসস্থলে ভালো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা জরুরি, যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে।
২. ঘরের নকশা:
-
আয়তাকার ঘর: হাঁস-মুরগির জন্য আয়তাকার ঘর সবচেয়ে উপযোগী।
-
আলো ও বাতাস চলাচল: ঘরে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
-
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ঘর এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা থেকে হাঁস-মুরগিকে রক্ষা করা যায়।
-
নিরাপত্তা: বন্য প্রাণী ও চোরের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হতে হবে।
-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: ঘর সহজে পরিষ্কার করার মতো হতে হবে, যাতে রোগজীবাণু ছড়াতে না পারে।
৩. ঘরের অভ্যন্তর:
-
মেঝে: মেঝে শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রয়োজনে লিটার (খড়, কাঠের গুঁড়া ইত্যাদি) ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
খাবার ও পানির পাত্র: হাঁস-মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী পর্যাপ্ত খাবার ও পানির পাত্র রাখতে হবে।
-
বাসস্থান: ডিম পাড়ার জন্য আলাদা বাসা এবং রাতে ঘুমানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে।