গরুর কৃমি রোগের লক্ষণ এবং প্রতিরোধের কার্যকর পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:
১. গরুর কৃমি রোগের লক্ষণ:
-
ওজন হ্রাস: কৃমি সংক্রমণের ফলে গরুর খাদ্য হজমে সমস্যা হয়, যার কারণে ওজন কমে যেতে পারে।
-
ডায়রিয়া: কৃমি অন্ত্রের ক্ষতি করে, ফলে ডায়রিয়া হতে পারে।
-
রক্তশূন্যতা: কিছু কৃমি গরুর রক্ত শোষণ করে, যা রক্তশূন্যতার কারণ হতে পারে।
-
দুর্বলতা: কৃমি সংক্রমণের ফলে গরু দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
-
পেট ফাঁপা: কৃমি অন্ত্রে গ্যাস তৈরি করে, যা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।
-
পশমের রুক্ষতা: গরুর পশম রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে যেতে পারে।
-
দুধ উৎপাদন হ্রাস: দুধেল গাভীর দুধ উৎপাদন কমে যেতে পারে।
-
পেটে ব্যথা: কৃমি সংক্রমণের ফলে গরুর পেটে ব্যথা হতে পারে।
-
পায়খানার সাথে কৃমি নির্গত হওয়া: অনেক সময় গরুর পায়খানার সাথে কৃমি নির্গত হতে দেখা যায়।
২. গরুর কৃমি প্রতিরোধের কার্যকর পদ্ধতি:
-
নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ প্রয়োগ: পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গরুকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
-
গোয়ালঘর পরিষ্কার রাখা: গোয়ালঘর নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
-
সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা: গরুকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে এবং পরিষ্কার পানি পান করাতে হবে।
-
ঘাস পরিষ্কার রাখা: গরুর চারণভূমি এবং ঘাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
-
নতুন গরুকে পরীক্ষা করা: নতুন গরু কেনার পর তাকে কৃমিমুক্ত করার জন্য পরীক্ষা করাতে হবে।
-
গোবর ব্যবস্থাপনা: গোবর দ্রুত পরিষ্কার করে দূরে ফেলতে হবে।
-
পশুচিকিৎসকের পরামর্শ: নিয়মিত পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।