বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সময় ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সাইবার অপরাধীরা প্রায়ই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে। নিচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন নিরাপদ রাখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
১. একটি সুরক্ষিত ওয়ালেট ব্যবহার করুন
-
হার্ডওয়্যার ওয়ালেট: এটি অফলাইন স্টোরেজ, যেখানে প্রাইভেট কী সংরক্ষিত থাকে। যেমন: Ledger, Trezor।
-
সফটওয়্যার ওয়ালেট: যদি সফটওয়্যার ওয়ালেট ব্যবহার করেন, নিশ্চিত করুন এটি বিশ্বস্ত এবং নিরাপত্তা আপডেটগুলি নিয়মিত পায়।
২. দুই-স্তরের সুরক্ষা (2FA) সক্ষম করুন
-
প্রতিটি ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্টের জন্য দুই-স্তরের সুরক্ষা ব্যবহার করুন।
-
অ্যাপ যেমন Google Authenticator বা Authy ব্যবহার করুন।
৩. প্রাইভেট কী গোপন রাখুন
-
প্রাইভেট কী কখনো অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
-
এটি অফলাইনে বা নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন (যেমন পেপার ওয়ালেট)।
৪. নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন
-
পাবলিক Wi-Fi এড়িয়ে চলুন। এটি প্রায়শই হ্যাকারদের জন্য সহজ টার্গেট হয়।
-
VPN (Virtual Private Network) ব্যবহার করে আপনার সংযোগ এনক্রিপ্ট করুন।
৫. ফিশিং আক্রমণ থেকে সতর্ক থাকুন
-
সন্দেহজনক ইমেইল বা লিংকে ক্লিক করবেন না।
-
ওয়েবসাইটের URL যাচাই করুন। ফিশিং সাইটগুলি প্রায়শই আসল সাইটের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়।
৬. আপনার ডিভাইস সুরক্ষিত রাখুন
-
অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার এবং অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।
-
ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম এবং ব্রাউজার আপডেট করুন।
৭. বহু-সিগনেচার লেনদেন ব্যবহার করুন
-
কিছু ওয়ালেট এবং এক্সচেঞ্জ বহু-সিগনেচার ফিচার সমর্থন করে। এটি নিশ্চিত করে যে প্রতিটি লেনদেনে একাধিক অনুমোদনের প্রয়োজন।
৮. ব্যাকআপ তৈরি করুন
-
আপনার ওয়ালেট এবং রিকভারি ফ্রেজের ব্যাকআপ নিন।
-
ব্যাকআপটি অফলাইনে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন।
৯. বিশ্বস্ত এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করুন
-
জনপ্রিয় এবং নিরাপদ এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করুন, যেমন Binance, Coinbase।
-
এক্সচেঞ্জে ফান্ড দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করবেন না।
১০. নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
-
বিভিন্ন সাইবার হুমকির আপডেট এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি শিখুন।
আপনার ক্রিপ্টো সম্পদ সুরক্ষিত রাখা মূলত আপনার নিজের দায়িত্ব। নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা চর্চা বজায় রেখে হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।