হ্যাঁ — বিবাহের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষাটা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে, বিশেষত যদি এক বা দু’জন পক্ষের পরিবারে থ্যালাসেমিয়ার ইতিহাস থাকে বা এমন এলাকায় থাকেন যেখানে থ্যালাসেমিয়া প্রচুর রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছি —
কেন বিবাহের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষণ জরুরি?
-
থ্যালাসেমিয়া একটা বংশগত রক্তের রোগ (haemoglobinopathy) — অর্থাৎ জিনগতভাবে গুণগত পরিবর্তন দিয়ে ঘটে।
-
যদি দুই পক্ষই থ্যালাসেমিয়ার বাহক (carrier) হয়, তাহলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া মার্জ (severe form) বা মাঝারি রূপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
একাধিক দেশে দেখেছে, বিবাহ-পূর্ব পরীক্ষণ এবং জেনেটিক কাউন্সেলিং (genetic counselling) দ্বারা নতুন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হ্রাস পেয়েছে।
-
বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে থ্যালাসেমিয়া বাহক হার উল্লেখযোগ্য, সেখানে পরীক্ষণ ও সচেতনতা বিশেষভাবে প্রয়োজন।