তাফসিরে বর্ণনামূলক পদ্ধতির গুরুত্ব হলো, এটি কুরআনের আয়াতগুলোকে তাদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, ঘটনা বা পরিস্থিতি অনুযায়ী বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। এ পদ্ধতিতে কুরআনের আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, যেখানে মূলত ঘটনাগুলি, সময়কাল, স্থান, এবং বাস্তব পরিস্থিতি উল্লেখ করা হয়, যা আয়াতের গভীরতা ও অর্থ বুঝতে সহায়ক।
তাফসিরে বর্ণনামূলক পদ্ধতির গুরুত্ব:
1. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের আলোকে ব্যাখ্যা: বর্ণনামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে কুরআনের আয়াতগুলো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষিত হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় যে, কোন আয়াত বিশেষ কোন পরিস্থিতিতে নাযিল হয়েছে, যার ফলে আয়াতটির সঠিক অর্থ বোঝা সহজ হয়।
2. উৎসাহ ও শিক্ষা প্রদান: বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা, সাহাবীদের জীবন ও ইসলামি ইতিহাসের ঘটনা বর্ণনা করে এই পদ্ধতি ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাথে শিক্ষণীয় এবং উদাহরণমূলক উপাদান প্রদান করে, যা মুসলমানদের জীবনে সহায়ক হতে পারে।
3. ব্যাখ্যার স্পষ্টতা: আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ঐতিহাসিক ঘটনা বা গল্পের মাধ্যমে পাঠক সহজেই আয়াতটির উদ্দেশ্য এবং তার প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে পারে। এটি তাফসিরের ব্যাখ্যাকে আরও পরিষ্কার এবং প্রাঞ্জল করে তোলে।
4. বিশ্বাসের দৃঢ়তা বৃদ্ধি: যখন কুরআনের আয়াতগুলি বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়, তখন তা বিশ্বাসী ব্যক্তিদের বিশ্বাসে দৃঢ়তা এবং আস্থা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়। ঐতিহাসিক ঘটনা, বিশেষভাবে সাহাবীদের কর্মকাণ্ড, মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
5. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গ: বর্ণনামূলক পদ্ধতি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে কুরআনের শিক্ষা ব্যাখ্যা করতে সহায়ক হয়। এটি মুসলিম সমাজের প্রতিদিনের জীবনে প্রাসঙ্গিক করে তোলে, এবং ধর্মীয় শিক্ষার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে।
সার্বিকভাবে, তাফসিরে বর্ণনামূলক পদ্ধতি কুরআনের গভীরতা ও প্রাসঙ্গিকতাকে আরো স্পষ্ট এবং উপযোগী করে তোলে, যা মুসলিমদের জীবনযাপন এবং তাদের বিশ্বাসকে সুসংহত করতে সহায়ক।