সার হিসাবে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে এবং গাছের সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে। এই রাসায়নিক সারগুলো সাধারণত গাছের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান পুষ্টি উপাদান যেমন নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), এবং পটাশিয়াম (K) সরবরাহ করে। নিচে কিছু সাধারণ রাসায়নিক সারের উদাহরণ দেওয়া হলো:
১. নাইট্রোজেন ভিত্তিক সার:
-
ইউরিয়া (CO(NH₂)₂): নাইট্রোজেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
-
অ্যামোনিয়াম সালফেট ((NH₄)₂SO₄): নাইট্রোজেন এবং সালফারের উৎস।
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃): নাইট্রোজেনের দ্রুতগতির উত্স।
২. ফসফরাস ভিত্তিক সার:
-
সুপার ফসফেট (Ca(H₂PO₄)₂): ফসফরাসের সরাসরি উৎস।
-
ট্রিপল সুপার ফসফেট (TSP): উচ্চ ফসফরাসযুক্ত সার।
-
ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP) ((NH₄)₂HPO₄): ফসফরাস ও নাইট্রোজেন সরবরাহ করে।
৩. পটাশিয়াম ভিত্তিক সার:
-
মিউরিয়েট অব পটাশ (MOP) বা পটাসিয়াম ক্লোরাইড (KCl): পটাশিয়ামের সরবরাহ।
-
সালফেট অব পটাশ (SOP) বা পটাসিয়াম সালফেট (K₂SO₄): পটাশিয়াম এবং সালফারের উত্স।
৪. মিশ্র সার:
-
এনপিকে সার: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মিশ্রণ (যেমন 10-20-10)।
-
কমপ্লেক্স ফার্টিলাইজার: একাধিক পুষ্টি উপাদানের সমন্বয়।
৫. অন্যান্য সার:
-
ক্যালসিয়াম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (CAN): নাইট্রোজেন এবং ক্যালসিয়ামের উত্স।
-
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (Epsom Salt): ম্যাগনেসিয়াম ও সালফারের জন্য।
এসব রাসায়নিক সার সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক সময়ে প্রয়োগ করলে ফসল উৎপাদন বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ ও মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।