জৈব সার এবং রাসায়নিক সারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
উৎস:
জৈব সার: এটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রস্তুত হয়, যেমন গবাদি পশুর গোবর, সার্ভিস মাটি, পচা গাছপালা, পচা পাতা ইত্যাদি।
রাসায়নিক সার: এটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয় এবং এর মধ্যে সাধারণত নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে, যা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়।
পুষ্টির উপাদান:
জৈব সার: এতে পুষ্টির উপাদান কম হলেও এতে মাটির গুণগত মান বৃদ্ধি পায় এবং পুষ্টি উপাদান দীর্ঘ সময় ধরে মাটিতে মুক্ত হয়।
রাসায়নিক সার: এটি দ্রুত পুষ্টি উপাদান মাটিতে প্রদান করে, তবে এর প্রভাব স্বল্পমেয়াদী হতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব:
জৈব সার: এটি পরিবেশবান্ধব এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি মাটির জীববৈচিত্র্য বাড়ায়।
রাসায়নিক সার: অতিরিক্ত ব্যবহারে মাটির গুণমান খারাপ হতে পারে এবং পরিবেশ দূষণের কারণ হতে পারে, যেমন নদী বা জলাশয়ে রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর প্রভাব।
খরচ:
জৈব সার: সাধারণত কম খরচে পাওয়া যায়, তবে তা প্রস্তুত করতে সময় বেশি লাগে।
রাসায়নিক সার: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাম বেশি হতে পারে, তবে তা দ্রুত পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা সহজ।
প্রভাব:
জৈব সার: এটি মাটির কাঠামো উন্নত করে এবং পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রাসায়নিক সার: এটি কিছু সময়ের জন্য দ্রুত ফলন বৃদ্ধি করতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে।