লবণাক্ত মাটিতে এমন ফসল ভালো জন্মায়, যা লবণের প্রতি সহনশীল (salt-tolerant)। এই ধরনের মাটি সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চল বা জলাভূমি এলাকায় পাওয়া যায়। লবণাক্ত মাটিতে ভালো ফলন দেয় এমন ফসল ও গাছপালা হলো:
ধান (Salt-tolerant Varieties)
-
ধানের কিছু লবণ-সহিষ্ণু জাত যেমন বিআর২৩, বিআর৪১, বিআর৪৭ (বাংলাদেশে) লবণাক্ত মাটিতে ভালো জন্মায়।
-
বোরো এবং আমন ধানের লবণ-সহিষ্ণু জাতও লবণাক্ত মাটির জন্য উপযুক্ত।
গম ও বার্লি
-
গমের লবণ-সহিষ্ণু জাত লবণাক্ত মাটিতে চাষ করা যায়।
-
বার্লি লবণাক্ত মাটিতে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারে।
ডালজাতীয় ফসল
-
মসুর ডাল, মুগ ডাল এবং খেসারি ডালের মতো কিছু ডাল লবণাক্ত মাটিতে ভালো জন্মায়।
তৈলবীজ
-
সরিষা এবং সূর্যমুখী লবণাক্ত পরিবেশে চাষ করা সম্ভব।
শাকসবজি
-
পালংশাক, বিট, টমেটো, এবং ব্রকলি লবণাক্ত মাটিতে কিছুটা ভালো ফলন দেয়।
ফলগাছ
-
নারকেল, খেজুর, তেঁতুল, এবং কাঁঠাল গাছ লবণাক্ত মাটিতে টিকে থাকতে পারে।
-
সুপারি এবং কিছু ধরনের আমও লবণাক্ত মাটিতে চাষযোগ্য।
লবণাক্ত মাটির জন্য বিশেষ ফসল
-
কুইনোয়া: এটি একটি লবণ-সহিষ্ণু শস্য।
-
সুইচগ্রাস (Switchgrass): এটি জ্বালানি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং লবণাক্ত মাটিতে জন্মাতে পারে।
লবণাক্ততা কমানোর কৌশল
-
জিপসাম ব্যবহার: মাটির লবণাক্ততা কমাতে সাহায্য করে।
-
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা: অতিরিক্ত লবণ বের করতে সহায়ক।
-
জৈব সার ব্যবহার: মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
-
লবণ-সহিষ্ণু জাতের বীজ ব্যবহার।
লবণাক্ত মাটিতে সঠিক ফসল নির্বাচন এবং আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো ফলন সম্ভব।